০১ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:৩৪:২৬ অপরাহ্ন


মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারীরা সরাসরি আনতে পারবে রেমিটেন্স
Ibrahim Hosen Somrat
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১১-২০২২
মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারীরা সরাসরি আনতে পারবে রেমিটেন্স মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারীরা সরাসরি আনতে পারবে রেমিটেন্স


রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএসএফ) প্রদানকারীদের অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স আনার অনুমতি দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অনুমোদিত ডিলাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়াই বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের সাথে বন্দোবস্ত করতে পারবে।

অনুমোদিত ডিলারদের বাংলাদেশ দূতাবাস বা সংশ্লিষ্ট দেশের হাই কমিশন থেকে সুপারিশপত্র বা সনদপত্র ছাড়াই বন্দোবস্ত করার অনুমতি থাকছে।

প্রজ্ঞাপনের বলা হয়েছে, এমএফএস প্রদানকারীদের জন্য আরো বেশি সহজ করতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে পরিষেবা প্রদানকারী, ব্যাংক, ডিজিটাল ওয়ালেট, কার্ড স্কিম ও বিদেশে আর্থিক পরিষেবা সমন্বয়কারীদের সাথে মিলিতভাবে রেমিটেন্স উপার্জনকারীদের অর্থ দেশে পাঠানোর অনুমতি দেয়া হবে।

এ পরিপ্রেক্ষাপটে, এমএফএস প্রদানকারীদের অবশ্যই তাদের অ্যাকাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়ার জন্য বিদেশি পেমেন্ট ও সেটেলমেন্ট সিস্টেমের (পিএসপি) সাথে স্থায়ী ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং সমতুল্য অর্থ মজুরি উপার্জনকারীদের এমএফএস অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

পরবর্তীকালে, বিদেশি পিএসপিগুলো মনোনীত ডিলারের নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট প্রদান করবে (একটি অ্যাকাউন্ট যা একটি ব্যাংক অন্য ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রায় ধারণ করে)। টাকায় মজুরি পাওয়ার পর উপার্জনকারীরা সমস্ত লেনদেন করতে বিদেশ থেকে এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন।

যারা মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদান করতে চায় তাদেরকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওপরে বর্ণিত ফ্রেমওয়ার্ক বা অনুরূপ সুবিধাজনক পদ্ধতি অনুসারে প্রস্তাবিত ব্যবস্থার বিবরণসহ বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগে আবেদন করতে হবে।

উদ্যোগটি ছোট পরিসরে পর্যালোচনার প্রাথমিকভাবে অনুমতি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ২০১১ সালে এমএফএস চালু করে। তখন থেকেই পরিষেবাটি নিয়ে দেশে যথেষ্ট গুঞ্জন হয়েছে। বর্তমানে ১৩টি এমএফএস অপারেটর ১৮ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে পরিষেবা প্রদান করছে। যারা প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আদানপ্রদান করছে।