মা ও বাবার পরিচয় না থাকলেও জন্মনিবন্ধন সনদ পাবে পথশিশুরা। এ নিয়ে সফটওয়্যারে যে জটিলতা ছিল, তা গত ২৬ জুলাই নিরসন করা হয়েছে।
রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) পক্ষে হাইকোর্টে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে ৩০ জুন সারা দেশের ১৬ লাখ পথশিশুকে জন্মনিবন্ধন সনদ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্মনিবন্ধনের ব্যবস্থা নিতে সরকারের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাও অগ্রগতি প্রতিবেদন আকারে তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিল করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারিসহ এই আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার জেনারেল সামিউল ইসলাম রাহাদ হাইকোর্টে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পথশিশুদের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সফটওয়্যারে সাময়িক জটিলতা দেখা দিয়েছিল। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির জন্মনিবন্ধনকালে বার্থ অ্যান্ড ডেথ রেজিস্ট্রেশন ইনফরমেশন সফটওয়্যার (বিডিআরআইএস) হতে ২০০১ সালের ১ জানুয়ারির পরে জন্ম নেওয়া সবার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মা-বাবার জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যবাধকতা ছিল।
গত ২৬ জুলাই বর্তমান বিডিআরআইএস সফটওয়্যারের সেটিংসে এটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার পর থেকে গত ২১ নভেম্বর পর্যন্ত মা-বাবার জন্মনিবন্ধন তথ্য ছাড়াই ৩৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৭টি জন্মসনদ তৈরি হয়েছে।
গত ১২ জুন রাজধানীর দুই লাখসহ সারা দেশের ১৬ লাখ পথশিশুকে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়। স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্ট সংগঠনের পক্ষে ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল রিটটি করেন। রিটে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।