০১ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:৪০:১৫ অপরাহ্ন


সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ বছর পরপর সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে না
অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১১-২০২২
সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ বছর পরপর সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে না সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ বছর পরপর সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে না


সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি পাঁচ বছর পর সম্পদের বিবরণী নিজ মন্ত্রণালয়ে জমাদানের নিয়ম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিবছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে আয়কর রিটার্ন জমা দেন, সেখানে উল্লেখ করা সম্পদের বিবরণীর তথ্য এনবিআর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া যাবে।

আজ রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সচিব সভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

এত দিন ধরে চলা আচরণ বিধিমালার নিয়মানুযায়ী, প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে চাকরিতে প্রবেশের সময় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা দিতে হয়। এর পর পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধির বিবরণী নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের কাছে জমা দিতে হয়।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জনপ্রশাসন সচিব, এনবিআর ও তিনি বসে এটি স্পষ্ট করেন যে আলাদা সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার দরকার নেই। প্রত্যেক বছর যে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া হয়, সেখানে একটি পৃষ্ঠায় সম্পদের হিসাব দিতে হয়। তাই অসুবিধা না থাকলে এনবিআর ওই পৃষ্ঠাটিই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেবে। এ নিয়ে আদেশ জারি হবে। এনবিআর বলেছে, এ বিষয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী প্রতি পাঁচ বছর পর নিজ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার কথা ছিল। চাকরিজীবীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আচরণ বিধিমালায় এ নিয়ম যুক্ত করা হয়। কিন্তু তাঁদের অধিকাংশই এ নিয়ম মানতেন না। বারবার চিঠি দেওয়ার পরও অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পদ বিবরণী নিজ মন্ত্রণালয়ে জমা দেননি। এ অবস্থায় বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৫ লাখের বেশি।

এত দিন ধরে চলা আচরণ বিধিমালার নিয়মানুযায়ী, প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে চাকরিতে প্রবেশের সময় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির ঘোষণা দিতে হয়। এরপর পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধির বিবরণী নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের কাছে জমা দিতে হয়। কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাকরিতে প্রবেশের সময় সম্পত্তির তথ্য দিলেও পরে সম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধির বিবরণী জমার বিষয়টিতে কেউ আর গুরুত্ব দেন না।