বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১১টি পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতি পেয়েছে। শিগগির নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে আরও দুটি পণ্য। সেগুলো হলো-বগুড়ার দই ও শীতলপাটি। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিপিডিটি জানায়, বগুড়ার দই ও শীতলপাটির জন্য চলতি বছরের মাঝামাঝিতে আবেদন করা হয়েছিল। এখন যাচাই-বাছাই চলছে। প্রক্রিয়াটি শেষ হতে আরো কয়েকদিন লাগবে। এরপর গেজেট আকারে সে ঘোষণা আসবে।
কোনো দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও মানুষের সৃজনশীলতা মিলে কোনো পণ্য তৈরি হলে তাকে বলা হয় সেই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা জিআই) পণ্য। শুধু বাংলাদেশেই উৎপাদিত হয় এমন ১১টি পণ্য আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব কর্তৃপক্ষ থেকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এ পর্যন্ত।
বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায় জামদানি শাড়ি। এরপর একে একে পেয়েছে ইলিশ মাছ, ক্ষীরশাপাতি আম, মসলিন, বাগদা চিংড়ি, ফজলি আম, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহী সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি এবং দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল।
আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড প্রপার্টি রাইটস অরগানাইজেশনের (ডবিøউআইপিও) নিয়ম মেনে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) এই স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে।
কোনো পণ্য জিআই পেলে এরপর গেজেট প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা দেশ তাতে আপত্তি না জানালে চ‚ড়ান্ত স্বীকৃতির সনদ দেয় ডিপিডিটি।