সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে জমি বন্ধক রেখে ঋণ নেয়ার ঘটনা অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তিন মাসের সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাখ্যায় কী কারণে ভুয়া ডকুমেন্টে ঋণ দেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত এর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে, সেদিন সোসাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কি কারণে ভুয়া ডকুমেন্টে ঋণ দেয়া হয়েছে সে বিষয়েও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরার আজমপুর অংশে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সরকারি জমি বন্ধক রেখে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘটনা অনুসন্ধান করতে এ সময় বেধে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাসড়কের সরকারি জমি বন্ধক রেখে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন মো. গোলাম ফারুক নামে এক ভয়ংকর প্রতারক। ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তিনি মোটা অঙ্কের এ ঋণ বাগিয়ে নেন। তবে সেটি ধরা পড়ার পর আবার দলিল সংশোধন করেন। এবার আগের বন্ধককৃত জমির দাগ নম্বর পরিবর্তন করে ব্যাংকে জমা দেন। সংশোধিত দলিলের জমিতে বন্ধকি সম্পত্তির সাইনবোর্ড স্থাপনের চেষ্টা করলে ব্যাংক জানতে পারে সেটিও ভুয়া।
সংশোধিত দলিলের জমির আসল মালিক জামির আলী। ২৭ শতাংশের ওই জমি দখলে নিতে একাধিকবার তারওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা চলে। অবশেষে গত ১৪ এপ্রিল রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে ফারুকসহ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফিরোজ আল মামুন ওরফে ফিরোজকে গ্রেফতার করে র্যাব।