চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) সমপ্রতি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে এবং কন্টেনার লোড ও আনলোড করার সময় কমিয়ে এনেছে। চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, আমরা এখন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বড় আকারের জাহাজের আমদানি ও রপ্তানি কন্টেনার আনলোডিং এবং লোডিং সম্পন্ন করছি। এর আগে এতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগতো।
তিনি জানান, সমপ্রতি বন্দর চ্যানেলে বড় জাহাজের নির্বিঘ্ন চলাচলের সুবিধার্থে এবং বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বাড়াতে সিপিএ দুটি নতুন টাগবোট সংগ্রহ করেছে। তিনি আরো বলেন, এই দুটি জাহাজ তুলনামূলকভাবে বড় জাহাজ থেকে লোড-আনলোড করার ক্ষেত্রে বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। তারা বন্দর থেকে কন্টেনারবাহী বড় জাহাজে লোড-আনলোড করার সুবিধাও দিচ্ছে। খবর বাসসের।লয়েডস লিস্ট’স ওয়ান হান্ড্রেড পোর্ট ২০২২ অনুসারে, বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০টি কন্টেনার হ্যান্ডেলিং বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরটি ৬৪তম ব্যস্ততম বন্দর।লয়েডের তালিকা অনুসারে, চট্টগ্রাম বন্দর ২০২১ সালে ৩,২১৪,৫৪৮ টিইইউ কন্টেনার হ্যান্ডল করেছে, যা আগের বছরের ২,৮৩৯,৯৭৭ টিইইউ থেকে বেশি। এখানে কনটেনার হ্যান্ডলিং বছরে ১৩.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।এম শাহজাহান বলেন, বন্দরটি গত বছর কনটেনার হ্যান্ডলিংয়ে ১৩ শতাংশের বেশি বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ফলে, মহামারীর পরে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য তার আসল অবস্থায় ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, সামপ্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লজিস্টিক সরবরাহসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কারণে বন্দরের সাফল্য সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজনের ফলে বন্দরের ইয়ার্ড ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার পাশাপাশি কনটেনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। লয়েডের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। চট্টগ্রাম বন্দর ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরগুলোর মধ্যে লয়েডের তালিকায় ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে।