একের পর এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল প্রতিবেশী দেশ নেপাল। ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু নেপালই নয়, মঙ্গলবার গভীর রাত ১.৫৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয় আমাদের দেশেও। পাশাপাশি চীনেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয়েছে ৬.৩। ভারতের দিল্লী, ইউপি, বিহার, উত্তরাখণ্ড, দিল্লী, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক শহরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপাল। আর সর্বোচ্চ ধ্বংসের খবর আসছে নেপাল থেকেই। ডোটিতে একটি বাড়ি ধসে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৬.২৭ মিনিটে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এই আফটারশকগুলির তীব্রতা ছিল ৪.৩।
ভারতের নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের কাছে সবচেয়ে শক্তিশালী ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে। সেই সঙ্গে সারা উত্তর ভারতে ভূমিকম্পের তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালে, পিথোরাগড় থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে।
ভারতের দিল্লী, নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং গুরুগ্রামেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এমনকি লখনউতেও কম্পনে মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। ইউএসজিএস অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের দিপায়াল থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে। মঙ্গলবার গভীর রাতেও এখানে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়। এর তীব্রতা ছিল ৪.৯ এবং ৩.৫। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায়ও উত্তরাখণ্ডে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
নেপালে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এখানকার ডোটিতে ভূমিকম্পের জেরে ভেঙে পড়ে একটি বাড়ি। এই দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৫ জন। ডোটিতে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ৩ জন রয়েছে। ভূমিকম্পে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নেপালে সেনাবাহিনী ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউয়ান ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি ট্যুইট করেছেন, 'ভূমিকম্পে নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের তাত্ক্ষণিক ও যথাযথ চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি।"
এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোর কাছ থেকে তথ্য পেয়েছে। এখনও অবধি দিল্লী-এনসিআর, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড থেকে কোনও জীবন বা সম্পত্তির ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রতিনিয়ত রাজ্যগুলির সাথে যোগাযোগ রাখছে।