পাড়া প্রতিবেশীদের মুখে শুনেছিলেন এক মাত্র মেয়ের যুবক প্রেমিক তাঁকে বিরক্ত করে। সেই রাগেই ২৩ বছরের ব্রাইস ব্রগেলকে গুদামঘরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেললেন ৪৫ বছরের মাইকেল লাফলেক্স। আমেরিকার মিনেসোটা প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে । পরে লাফলেক্সকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রথমে লাফলেক্সের মেয়েই থানায় গিয়ে প্রেমিকের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশকে তিনি জানান, ২৬ অক্টোবরের পর তিনি প্রেমিককে দেখতে পাচ্ছেন না। তাঁর সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। তারপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। প্রেমিকার বাড়ির পাশেই একটি গুদামঘরে ফিনাইল এবং ব্লিচিং পাউডার পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় প্রেমিকার বাবা লাফলেক্সকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুদামঘরে ব্রগেলকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন লাফলেক্সই। তারপর তাঁকে গুলি করে হত্যা করে দেহ মাটি চাপা দিয়ে দেন। পুলিশের কাছে লাফলেক্স প্রথমে দাবি করেছিলেন যে, ব্রগেলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার ফোন দু’টিও তারা বাজেয়াপ্ত করেছে বলে দাবি করেন তিনি। পরে আবার পুলিশি জেরার মুখে তিনি দাবি করেন, মেয়ের প্রেমিকের দু’টি ফোনই তাঁর কাছে আছে।
মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ময়না-তদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, মাথার পিছন দিকে গুলি করে মারা হয়েছে ব্রগেলকে। লাফলেস্কের মেয়ে অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর প্রেমিক কখনও তাঁকে বিরক্ত করেনি। তাঁর দাবি, অন্যদের কথায় প্ররোচিত হয়েই বাবা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।