আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তবে ছাড়া পেতেই আদালতের বাইরে তাঁর ১০০ সমর্থক তাঁর নামে স্লোগান তোলে এবং জামিনে মুক্ত ব্যক্তি শূন্যে গুলি ছোড়েন। অভিযুক্তের এই কীর্তিতেই জামিন খারিজ করে দেয় মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের গোয়ালিয়র বেঞ্চ। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কোনও অভিযুক্তকে নিয়ে যদি এভাবে মাতামাতি হয়, তাহলে তা সমাজের ওপর ভালো প্রভাব ফেলবে না। পাশাপাশি আদালত এও জানায়, জামিনে মুক্তি পাওয়ার অর্থ এই না যে অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত জানায়, পাঁচ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্তকে। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪০৯ এবং ৪৭১ নং ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে তাঁর বন্দি থাকার মেয়াদ বিবেচনা করে এবং নগদ ৫ লাখ টাকা জমা দেওয়ার শর্তে আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছিল।
তবে অভিযুক্ত মুক্তি পেতেই তাঁকে ১০০ জনের বেশি মানুষ স্বাগত জানায়। শুধু তাই নয়, তাঁকে ফুলের মালা পরানো হয়। খোলা জিপে করে তাঁকে তাঁর বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছে তিনি জমায়েতের উদ্দেশে হাত নাড়েন। শূন্যে গুলিও ছোড়েন।
এদিকে অভিযুক্তের দাবি, তিনি মুক্তি পাওয়ায় তাঁর ‘আশীর্বাদ’ নিতে এসেছিলেন অনেকে। তিনি আতঙ্ক ছড়াতে লোক জমায়েত করেননি। তবে আদালত বলে, কোনও অভিযুক্তকে যখনও এভাবে স্বাগত জানানো হচ্ছে, তা দেখে মামলার সাক্ষীরা পিছু হটতে পারে। আদালত বলে, ‘ভিডিয়ো দেখে মনে হচ্ছে জেল থেকে নয়, অভিযুক্ত যুদ্ধ জয় করে ফিরছেন।’ এই পর্যবেক্ষণের পর অভিযুক্তের জামিন খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত।