সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে দুটি গাড়িতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩০০ জন।
রোববার (৩০ অক্টোবর) দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহাম্মদ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে জানা যায়, সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ এ ঘটনায় জঙ্গি সংগঠন ‘আল শাবাব’কে দায়ী করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
শেখ মোহাম্মদ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, যারা হত্যার শিকার হয়েছে, তাদের মধ্যে মা-বাবা ও শিশুও রয়েছে। এমনকি শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরাও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম বিস্ফোরণটি মোগাদিশুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছের একটি ব্যস্ত মোড়ে ঘটে। এরপর অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য লোকজন জড়ো হলে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে।
স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র সাদিক জানান, শিশু, নারী ও বৃদ্ধসহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে দুটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিলে রাজধানীতে সহিংস চরমপন্থা, বিশেষ করে আল শাবাব গোষ্ঠীকে মোকাবিলার বিষয়ে আলোচনা চলাকালেই এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আল শাবাব আল কায়েদাসংশ্লিষ্ট একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এরা সোমালিয়ার রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় নিয়মিত হামলা চালিয়ে থাকে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সোমালিয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে গোষ্ঠীটি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে একই স্থানে সোমালিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বোমা হামলায় ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। সে সময় একটি ট্রাক বোমা বিস্ফোরিত হয়।