মায়ানমারে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে দেশের একাধিক জনগোষ্ঠী লড়াই চালাচ্ছে । রবিবার এমনই একটি জনগোষ্ঠী কাচিনদের সঙ্গীতানুষ্ঠানে বিমান হানা চালালো মায়ানমার সেনা। তাতে এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন মহলের দাবি।
যদিও মায়ানমারের সামরিক প্রশাসন এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেনি। দেশ থেকে বিতাড়িত এবং বিদেশে পালিয়ে যাওয়া নাগরিকেরা আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ঘটনার কথা জানিয়েছে। প্রতিবেশীথাইল্যান্ডের দুটি সংবাদমাধ্যম খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, বিমান হানায় বহু নাগরিক আহত হয়েছেন।
বিগত কয়েকদিন যাবৎ মায়ানমারের সেনা বাংলাদেশ সীমান্তে বিমান হানা চালাচ্ছে বলে খবর। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবাদের জবাবে মায়ানমারের সেনা প্রশাসন দায় চাপিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান লিবারেশন আর্মির উপর।
রোহিঙ্গা জনজাতিকে উৎখাতের প্রতিবাদে মায়ানমারের সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে আরাকান সেনা। অন্যদিকে, কাচিন প্রদেশে লড়াই চালাচ্ছে সেখানকার বিদ্রোহীরা।
কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, দেশে বিদ্রোহীদের দমন করতেই টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে মায়ানমার সেনা। কারণ, তাঁদের ক্ষমতায় থাকার ঘোষিত মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে। সেনা শাসক চাইছেন, দেশে অস্থিরতা তৈরি করে সামরিক শাসনের মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে।
রবিবার কাচিন প্রদেশের হপাকান্ত শহরে বড় জলসার আয়োজন করা হয়েছিল। উৎসবে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত কাচিন জনগোষ্ঠীর শিল্পীরা সকলেই মারা যান। নিহতরা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের ৬২তম মহড়ায় যোগদানের পর গানের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মায়ানমারের ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রকামী নেত্রী আং সান সু চি ও তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।