১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ০৯:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন


ইমরানের বিরুদ্ধে পাক নির্বাচন কমিশনের সাজা বহাল হাইকোর্টে
রিয়াজ উদ্দিন:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-১০-২০২২
ইমরানের বিরুদ্ধে পাক নির্বাচন কমিশনের সাজা বহাল হাইকোর্টে ইমরানের বিরুদ্ধে পাক নির্বাচন কমিশনের সাজা বহাল হাইকোর্টে


ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বহাল রাখল ইমরান খানকে নিয়ে সে দেশের নির্বাচন কমিশনের সিদ্বান্ত।

সোমবার হাইকোর্ট ইমরানের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এরপর তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে।

এদিকে, আজ পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন ইমরানকে। বলেছেন, লোকটা সার্টিফায়েড চোর, ঠগ।

গত সপ্তাহে পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইসলাম পার্টি বা পিটিআইয়ের প্রধান তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে সোমবার দুপুরে দলের কড়া সাজা দিয়েছে কমিশন। দুর্নীতির উদ্দেশ্যে তথ্য গোপনের অভিযোগে সে দেশের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী পাঁচ বছর ইমরান পাকিস্তানের কোনও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। ফলে পাঁচ বছর সংসদে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল তাঁর। 

ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বিদেশি অতিথিদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার সামগ্রী নিলাম করে পাওয়া বিপুল অর্থ রোজগারের বিষয়টি তিনি আয়কর দফতর এবং কমিশনের কাছে গোপন করেছেন। উপহারের মধ্যে রয়েছে একটি গ্রাফ ঘড়ি, এক জোড়া কাফলিঙ্ক, একটি দামি কলম, একটি আংটি এবং চারটি রোলেক্স ঘড়ি। ফলে বলাই যাচ্ছে, ভোটের লড়াইয়ে ইমরানের পাঁচ বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার পিছনে আছে লোপ্পা ক্যাচ তোলা কিংবা ব্যাটসম্যানকে ছয় হাঁকানোর বল করার মতো ব্যাপার। 

পাকিস্তানে বর্তমানে ক্ষমতাসীন একটি জোট সরকার। জোট শরিকদের সাংসদেরা গত অগাস্টে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে বলা হয়, উপহার বিক্রি থেকে আয় গোপন করায় ইমরানকে ভোটে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করা হোক।

পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ গত সপ্তাহে সর্বসম্মতভাবে রায় দেয়।

পাক নির্বাচন কমিশন আরও ঘোষণা করেছে যে তারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করবে।

ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি সরকারি সফরে গিয়ে মূল্যবান উপহার পান। ইমরান সেগুলি কম দামে কিনে নিয়ে নিলাম করে মোটা অর্থ রোজগার করেন।