যৌন নির্যাতনের ঘটনার তদন্তে নয়া ফরমান জারি করল মধ্যপ্রদেশ। রাজ্য পুলিশের তরফে থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, লিভ ইন সম্পর্কে থাকা কোনও মহিলা তাঁর সঙ্গীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর দায়ের করা যাবে না।
সেক্ষেত্রে কী করণীয় পুলিশের? বিজেপিশাসিত ওই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, পুলিশকে বলা হয়েছে, অভিযোগকারিণী এবং অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁদের বক্তব্য শুনতে। যদি মহিলা তাঁর অবস্থানে অবিচল থাকেন এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয় তখন আনুষ্ঠানিকভাবে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বিজেপি সহ গেরুয়া শিবির বিয়ে ছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষের অন্য কোনও সম্পর্ককে মান্যতা দেয় না। লিভ ইন সম্পর্ক নিয়ে একাধিক মামলায় বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলি এই সম্পর্কের বিরোধিতা করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র অবশ্য সরাসরি এফআইআর না নেওয়ার কারণ হিসাবে ধর্ষণ-সহ যৌন নির্যাতনের মামলার পরিণতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, অভিযোগকারিণী নিজের অবস্থান থেকে সরে গিয়েছেন। আপস মীমাংসার দৃষ্টান্ত বাড়ছে। কিন্তু নির্যাতনের অভিযোগ করায় আইন শৃঙ্খলা এবং তদন্ত নিয়ে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্ন চিহ্নর মুখে পড়ছে।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশের মতে এমন দৃষ্টান্ত লিভ ইন সম্পর্কে থাকা মহিলাদের ক্ষেত্রেই বেশি হচ্ছে। গুরুতর অভিযোগ করার পর হইচই হচ্ছে। কিন্তু পরে আলোচনা করে বিরোধ মিটিয়ে নিচ্ছেন। ফলে তদন্তে নেমে পুলিশ তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে পারছে না।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশ একটি পরিসংখ্যান হাজির করে দাবি করেছে, গত তিন মাসে ৩৯২টি যৌন নির্যাতনের মামলায় ৯৯টি ক্ষেত্রে অপরাধীর সাজা হয়েছে। বাকিগুলির ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের আদালত নির্দোষ বলে মুক্তি দিয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, এর মধ্যে অনেকগুলি মামলায় অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্ত নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নিয়েছেন। অথচ অভিযোগকারিণী গোড়ায় পুলিশের কাছে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন।