রাশিয়াকে রুখতে পশ্চিমাদের কাছে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চাওয়ার একদিন পরই ইউক্রেনের সহায়তায় এগিয়ে এলো ন্যাটো। দেশটিতে এরই মধ্যে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠিয়েছে জার্মানি। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।
গত ৮ অক্টোবর ভয়াবহ বিস্ফোরণে ধসে পড়ে ক্রিমিয়া-মস্কো সংযোগ সেতুর একটি অংশ। সেতুতে এ বিস্ফোরণের পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে রাশিয়া ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ অবস্থায় জি সেভেন দেশগুলোর কাছে সহায়তা চাওয়ার একদিনের মাথায় ইউক্রেনে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠিয়েছে জার্মানি। পোলান্ড-ইউক্রেন সীমান্ত দিয়ে এ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার (১২ অক্টোবর) আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ঘোষণা এল ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলোর পক্ষ থেকে। যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকানোর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ছাড়াও কয়েক শ ড্রোন সহায়তা দেবে ইউক্রেনকে। অত্যাধুনিক কামান ব্যবস্থা হাউৎজারও দেবে যুক্তরাজ্য।
ফ্রান্সও ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কী ধরনের অস্ত্র সহায়তা দেয়া হবে সেটি স্পষ্ট করেনি দেশটি।
এছাড়া নেদারল্যান্ডসও দেড় কোটি ডলারের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে ইউক্রেনকে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কানাডা।
এর আগে জি সেভেন দেশগুলোর ভার্চুয়াল বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্ত হয়ে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জানা যায়, বৈঠকে জি সেভেন নেতারা ইউক্রেনে রাশিয়ার তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে এর জন্য দায়ী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ অন্যদের জবাবদিহি করানোর অঙ্গীকার করেছেন। বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্বিচার হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল।
এদিন রাশিয়ার এনার্জি উইক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় ইউরোপে জ্বালানির মূল্য বাড়ার জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেন তিনি। একই সঙ্গে, সংকট কাটাতে নর্ড স্ট্রিম-২ পাইপ লাইনের চালু অংশ দিয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করার প্রস্তাব দেন পুতিন। পাইপ লাইনে বিস্ফোরণে কারা জড়িত তা সবাই জানে বলেও জানান রুশ প্রেসিডেন্ট।
এর মধ্যেই, রাশিয়া থেকে ইউরোপে তেল সরবরাহ করা দ্রুঝবা পাইপলাইনে ছিদ্র শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে জার্মানিতে তেল সরবরাহ কমে গেছে বলে জানিয়েছে পোলান্ড।