২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৬:৪৪:৪৯ পূর্বাহ্ন


বড়লোক হতে দুই নারীকে বলি দিয়ে খাওয়া হয়েছিল তাদের মাংস!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-১০-২০২২
বড়লোক হতে দুই নারীকে বলি দিয়ে খাওয়া হয়েছিল তাদের মাংস! বড়লোক হতে দুই নারীকে বলি দিয়ে খাওয়া হয়েছিল তাদের মাংস!


কেরলের ‘নরবলি’ কাণ্ডে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে চমকে দেওয়া তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দম্পতি শুধু যে দুই মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে তাই নয়, তারা মৃতদের মাংস এবং রক্ত ও খেয়েছিলো।

কেরলের এর্নাকুলামের বাসিন্দা, দুই তরুণী রোজেলিন ও পদ্মাকে বেশ কয়েকমাস ধরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। , তাঁরা রাস্তার ধারে স্টল দিয়ে লটারির টিকিট বিক্রি করতেন। গত জুন মাসে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান রোজেলিন। সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন পদ্মাও। তল্লাশি করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে এক ভয়ংকর তথ্য।

জানা যায়, দুই নারী-ই নরবলির শিকার হয়েছেন। সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে, রাতারাতি বড়লোক হতে নাকি এই দু’জনকে বলি দিয়েছে এক দম্পতি।  পরে দেহের মাংস খেয়েছেন তারা।

কোচি সিটি পুলিশের কমিশনার নাগারাজু চাকিলাম জানিয়েছেন, “আমরা পুরো বিষয়টি সন্দেহ করছি। এখনও যথেষ্ট প্রমাণ মেলেনি। ফরেন্সিক পরীক্ষা চলছে, সবরকম প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের ধারণা অভিযুক্তরা সাইকোপ্যাথ এবং পার্ভার্ট। বিকৃত যৌনকাম থেকেই মূলত এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তারা।

প্রথমে দুই মহিলার গলা কেটে খুন করে সেই দম্পতি। তার পর তাঁদের দেহ একেবারে টুকরো টুকরো করে কেটে বস্তাবন্দি করে দু’টি আলাদা আলাদা জায়গায় পুঁতে দেওয়া হয়। এক একটা দেহকে ৫৬ টুকরো করে কাটা হয়েছে।

ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত দম্পতির নাম ভগবন্ত সিং ও লাইলা। জানা গেছে, এদের একটি ম্যাসাজ পার্লারও রয়েছে। পুলিশের কাছে জেরায় তারা খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছে। একইসঙ্গে জেরায় তারা জানিয়েছে, তাদের বিশ্বাস ছিল নরবলি দিলে সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসবে। খুব শিগগিরই বড়লোক হয়ে যাবে। পাশাপাশি তারা মাংস খাওয়ার বিষয়টিও শিকার করেছে বলে পুলিশের একটি সূত্রের দাবি।

তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের কাছে আরও একটি নাম উঠে এসেছে। তার নাম রশিদ ওরফে মহম্মদ শফি। সূত্রের খবর, এই ব্যক্তিই দম্পতিকে নরবলি দেওয়ার কথা বলেছিল। শুধু তাই নয়, ওই দুই মহিলাকে জোগাড় করে দম্পতির বাড়িতে নিয়ে আসার দায়িত্বও নিজের কাঁধেই নিয়েছিল শফি। তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।