এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬০ (একশত ষাট) ভোট পেয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেসি।
এ নির্বাচনে ভোট প্রদানের সময় সাধারণ পরিষদ হলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম।
নির্বাচনে বাংলাদেশের জয়লাভের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ৪৭ সদস্যের এই কাউন্সিলে বাংলাদেশ ৫ম বারের মতো নির্বাচিত হলো। এটি জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবদানের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাউন্সিলের দায়িত্ব পালনে আমাদের দক্ষতারই একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ”।
নির্বাচনকালে প্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। বিপুল ভোটে বাংলাদেশকে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত করার জন্য সদস্য দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় জাতিসংঘের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে সবার সাথে একযোগে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ থেকে নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন মালদ্বীপ (১৫৪ ভোট), ভিয়েতনাম (১৪৫ ভোট) এবং কিরঘিজিস্থান (১২৬ ভোট)।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “এবারের নির্বাচন ছিল অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, বিশেষ করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ০৬টি দেশ এ অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত ০৪ চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। জাতিসংঘ বিশেষ করে মানবাধিকার কাউন্সিলে আমাদের গঠনমূলক ও নীতিগত উপস্থিতির ফলে আজ আমরা এত বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়লাভ করতে পেরেছি”।
নির্বাচনের পর সদস্য দেশগুলোর বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। তাঁরা গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শাসন ব্যবস্থা এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্ব এবং বিশ্ব শান্তির জন্য তাঁর সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন।
সকলের প্রত্যাশা, মানবাধিকার কাউন্সিসলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে উদীয়মান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের আদর্শ বাস্তবায়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।