অজ্ঞাত পরিচয় এক আততায়ীর হামলায় মৃত্যু হল এক ইজরায়েলি সেনার। গুরুতর আহত হয়েছেন ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর আরও এক সদস্য। ইজরায়েলের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আরও জানিয়েছে, শার্পনেলের আঘাতে আহত হয়েছেন আরও এক জন। তবে তিনি কোন দেশের নাগরিক, তা জানা যায়নি।
ঘটনা আজ ভোর রাতের। ইজরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমের সুয়াফত প্যালেস্তাইনি শরণার্থী শিবিরের কাছে একটি চেকপয়েন্টে আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে ওই আততায়ী। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। তার খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলি পুলিশ বিভাগের এক মুখপাত্র। তল্লাশিতে কাজে লাগানো হচ্ছে একটি হেলিকপ্টার ও সেনার বিশেষ বাহিনীকেও।
আজ সকালে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, সেনার যে সদস্য মারা গিয়েছেন, তিনি অত্যন্ত সঙ্কটজনক ছিলেন। গুলি লাগার পর পরই তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। কেন এই হামলা, তা স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে ইজরায়েলি সরকারের অভিযোগের আঙুল প্যালেস্তাইনি জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনার কড়া নিন্দা করে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিড বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাস আমাদের হারাতে পারবে না। এই কঠিন সময়েও আমরা শক্ত আছি।’’ ১৯৬৭ সালে ছ’দিনব্যাপী যুদ্ধের পর থেকে পূর্ব জেরুসালেমের ওই এলাকা নিজেদের দখলে রেখেছে ইজরায়েল।
প্যালেস্তাইনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জানিয়েছে, গত কাল পূর্ব জেরুসালেমের ওল্ড সিটিতে পাঁচ জন আহতের চিকিৎসা করেছেন তাদের চিকিৎসা কর্মীরা। আহতদের এক জনের শরীরে রবার বুলেটের আঘাত ছিল। ইজরায়েলের পুলিশ জানাচ্ছে, পূর্ব জেরুসালেমে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে তারা সাত শিশু-সহ আট জনকে আটক করেছে। অভিযুক্তদের ছোড়া পাথরে ইজরায়েলের পুলিশ বাহিনীর এক অফিসার সামান্য আহত হয়েছিলেন।