গত কয়েক দিন ধরেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়়ে হুঙ্কার করছে উত্তর কোরিয়া। রবিবারও নতুন করে আরও দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পিয়ংইয়ং। ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার সমস্ত তদারকি করেছেন স্বয়ং কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার শাসকের পরামর্শ মতোই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা। কিমের নির্দেশই যে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে উত্তর কোরিয়া, এই আন্দাজ অবশ্য আগেই করেছিল আন্তর্জাতিক মহল। প্রশ্ন উঠছে, এর মধ্যে দিয়ে কি পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের মহড়াও সেরে ফেলতে চাইছেন কিম? তার জবাব অবশ্য মেলেনি।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত যে ক’টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, তা কিমের নির্দেশই হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির তদারকিতে ছিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর জাপানের ভূখণ্ডের উপর দিয়ে আচমকা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল উত্তর কোরিয়া। যা গিয়ে পড়েছিল প্রশান্ত মহাসাগরে। যদিও এতে কেউ হতাহত হননি। তবে পাঁচ বছর পর জাপানের উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র যে ভাবে ছোড়ে উত্তর কোরিয়া, তার পরিপ্রেক্ষিতে ওই অঞ্চলে উত্তেজেনা বাড়ে। উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের আচরণের নিন্দায় সরব হয় জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা। নিন্দা করে রাষ্ট্রপুঞ্জও।
এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা শক্তি প্রদর্শন করতে যৌথ ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা। যার জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এই ঘটনার পাল্টা পরের দিনই, অর্থাৎ ৬ অক্টোবর আবার দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে পিয়ংইয়ং। ক্ষেপণাস্ত্র পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ঘিরে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। রবিবার নতুন করে আরও দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী তোশির ইনো জানিয়েছেন, রবিবার রাত ১টা ৪৭ মিনিট থেকে ১টা ৫৩ মিনিটের মধ্যে ছোড়া হয়েছে ওই দু’টি স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রই জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকার বাইরে পড়েছে। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সিএনএন দাবি করেছে, চলতি বছর এই নিয়ে ২৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া।