২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৪:৩৩:০৯ পূর্বাহ্ন


পরমাণু হামলার আশঙ্কায় সতর্কবার্তা বাইডেনের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-১০-২০২২
পরমাণু হামলার আশঙ্কায় সতর্কবার্তা বাইডেনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ফটো


সরাসরি পরমাণু হামলা হতে পারে আমেরিকায়। ঠান্ডা লড়াই যুগের সঙ্গে তুলনা টেনে আরও একবার সতর্কবার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তুললেন ১৯৬২ সালে তার পূর্বসূরি জন এফ কেনেডির সময়কার ‘কিউবার মিসাইল সংকট’ প্রসঙ্গ। উচ্চারণ করলেন আরমাগেডন (Armageddon) শব্দটি। যার বুৎপত্তিগত অর্থ হলো ‘জয়ের প্রাক মুহূর্তে শুভ-অশুভর মধ্যে শেষ লড়াই’। খবর গার্ডিয়ানের।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির এক অনুষ্ঠানে বাইডেন এ সব কথা বলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন ইউক্রেনে পরমাণু হামলার কথা বলেন, সেটা মোটেই মজা নয়। কেনেডির সময়কার ১৯৬২’র কিউবার মিসাইল সংকটের পর এ ধরনের শুভ-অশুভর মধ্যে লড়াইয়ের ঘটনা আর ঘটেনি।

রাশিয়া যে পথে হাঁটছে, তাতে আমেরিকার ওপর সরাসরি পরমাণু হামলা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিকবার পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইউক্রেনে ছোট আকারের পরমাণু হামলা চালাতে পারে মস্কো। যদিও এ ধরনের হামলার জের সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

দলীয় সমর্থকদের সামনে দেয়া ভাষণে আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন বাইডেন। পুতিনকে ‘খুব ভালো করে চেনেন’ দাবি করে তিনি বলেন, পুতিনের বাহিনী ইউক্রেনে একেবারেই সাফল্য পাচ্ছে না। সে কারণেই বারবার পরমাণু বা রাসায়নিক হামলার হুমকি দিচ্ছেন। আর এটা মোটেই মজার ছলে বলা হচ্ছে না।

নিউইয়র্কের অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সত্যিই পরমাণু হামলা হলে কোনো অবস্থাতেই আর যুদ্ধ থামানো যাবে না। বাইডেনের কথা, আমি দেখতে চাই কোথায় পুতিন থামছেন। কীভাবে সমাধান সূত্রে বের করবেন তিনি? কারণ এ যুদ্ধে শুধু যে পুতিনের মুখই পুড়েছে তাই নয়, রাশিয়ার মধ্যেও ক্ষমতা হারিয়েছেন তিনি।

গত মাসে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভাতেও রাশিয়াকে নিশানা করেছিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একজন স্থায়ী সদস্য প্রতিবেশী দেশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। প্রতিবেশীর সার্বভৌমত্ব দুনিয়ার মানচিত্র থেকে মুছে দেয়ার চেষ্টা করছে। নির্লজ্জের মতো জাতিসংঘ চার্টার ভঙ্গ করছে রাশিয়া।