জুমার নামাজ পড়তে আগেভাগে মসজিদে গেলে পাওয়া যাবে বিশেষ প্রতিদান। এ প্রতিদান দেওয়ার জন্য তৈরি থাকে দুজন ফেরেশতা। যারা হিসাব রাখে কে কখন মসজিদে এলো। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন। উৎসাহ দিয়েছে জুমার দিন সবার আগে আগে মসজিদে আসার জন্য। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং নামাজের জন্য (প্রথমে মসজিদে) আসে সে যেন একটি উট কোরবানি করলো। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আসে সে যেন একটি গাভী কোরবানি করলো। যে তৃতীয় পর্যায়ে আসে সে যেন শিং বিশিষ্ট একটি দুম্বা কোরবানি করলো। চতুর্থ পর্যায়ে যে আসে সে যেন একটি মুরগী কোরবানি করলো। আর পঞ্চম পর্যায়ে যে আসে সে যেন একটি ডিম কোরবানি করলো। পরে ইমাম যখন খুতবা দেয়ার জন্য বের হন তখন মালাইকা (ফেরেশতাগণ) জিকির (ইমামের খুতবা) শোনার জন্য উপস্থিত হয়ে থাকে।’ (বুখারি)
কেন জুমার নামাজ পড়তে আসার গুরুত্ব এতবেশি?
মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদা দিন জুমা। সূর্য উদয় হওয়া দিনগুলোর মধ্যে এ দিনকে শ্রেষ্ঠ বলেছেন স্বয়ং নবিজি। আর এ দিন আজানের সঙ্গে সঙ্গে আগেভাগে দ্রুত মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ। আর আগেভাগে মসজিদে গেলেই পাওয়া যাবে হাদিসে ঘোষিত প্রতিদান।
জুমার দিন মসজিদে সবার আগে নামাজ পড়তে আসার গুরুত্ব এতবেশি হওয়ার কারণ হলো স্বয়ং আল্লাহ তাআলা জুমার দিন আজানের সঙ্গে সঙ্গে আগেভাগে দ্রুত মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কুরআনে এসেছে-
‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত (মসজিদে) ধাবিত হও আর বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝ।’ (সুরা জুমা : আয়াত ৯)
সুতরাং আল্লাহর নির্দেশ মেনে যারা আগেভাগে জুমা পড়তে মসজিদে যাবেন তাদের জন্য গ্রহণযোগ্য কোরবানির সাওয়াবের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনবি। জুমার দিন যে যত আগে মসজিদে যেতে পারবে সে ওই পর্যায়ের কোরবানির সাওয়াব পাবেন।
তাই জুমার দিন দেরি না করে আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে সবার আগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া। ইমামের খুতবা শোনা। জুমার নামাজের পর সন্ধ্যা পর্যন্ত জিকির-আজকার, দোয়া ও ইবাদতে নিয়োজিত থাকা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমার দিন আগেভাগে মসজিদে উপস্থিত হওয়ার তাওফিক দান করুন। দিনব্যাপী ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।