২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০১:২৯:২০ পূর্বাহ্ন


বাংলাদেশের সংবিধানে এ দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে: ড. বেনজীর
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৯-২০২২
বাংলাদেশের সংবিধানে এ দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে: ড. বেনজীর বাংলাদেশের সংবিধানে এ দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে: ড. বেনজীর


পুলিশের বিদায়ী মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানে এ দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তাই আমি মনে করি আমাদের দেশে যে আইন আছে সেটা পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও মনে হয় নেই।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিদায়ী মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

দীর্ঘ ২৮ মাস পুলিশ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে বিদায় বেলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বেনজীর আহমেদ। আইজিপির পাশাপাশি একমাত্র পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং ডিএমপি কমিশনার হিসেবেও।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব, সরকারি দায়িত্ব প্রতিপালন করার জন্য। আমাদের মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা তার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ১২ বছরে আমি পুলিশ কমিশনার ছিলাম, ডিজি র‍্যাব ছিলাম ও আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষ করছি। এই তিন ক্যাটাগরিতে যা কিছু অর্জন হয়েছে তার পুরো কৃতিত্ব বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের। আর কোনো ব্যর্থতা থাকলে সেটা অবশ্যই আমার। এটা কাঁধে নেয়ার সাহস আমার রয়েছে।

মানবাধিকার উন্নয়নের জন্য কী করেছেন সাংবাদিকের-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানবাধিকার নিয়ে আমাদের সংবিধান যখন রচিত হয়েছে তখন পৃথিবীর ভালো ভালো সংবিধান রচিত হওয়ার কাজ শেষ। বাংলাদেশে এত মানবাধিকার সংবিধানে আছে তা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নেই।

পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, বাংলাদেশের সব আইনের উৎস সংবিধান। এ দেশে কোনো আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে সেটা বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন হাইকোর্ট। এমন অনেক আইন বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে এদেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আমাদের দেশে যে আইন আছে সেটা পৃথিবীর অন্য দেশে মনে হয় নেই।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাছে যে অস্ত্র দেয়া হয় সেটা আত্মরক্ষার জন্য। পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই অস্ত্র শুধু জীবন রক্ষার জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যেখানে পুলিশের গুলিতে প্রাণহানি ঘটেছে, সেগুলো সঠিক না বেঠিক তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।