রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামের (৩৮) বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের বেশ কয়েক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের পাশে একটি ভাড়া রুমে ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়াতেন স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসা একাধিক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। ধর্ষণের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রীর অভিভাবক প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও ছাত্রীদের অভিভাবকদের নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিদ্যালয়ে সালিশ বসে।
অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ছাত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণের বিষয়টি স্বীকার করে অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চান। ভবিষ্যতে এই ধরনের অসামাজিক কাজে তিনি লিপ্ত হবেন না জানিয়ে মুচলেকা দিয়েছেন বলে প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান নিশ্চিত করেন।
প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, খুব দ্রুত অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুর ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারপরেও পুলিশ নিজ থেকে খোঁজখবর নিচ্ছে। কেউ অভিযোগ করলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।