২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১১:৫৬:১৯ পূর্বাহ্ন


ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল
স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৯-২০২২
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল


রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল জেলার গোদাগাড়ী, তানোর, মোহনপুর ও দুর্গাপুর উপজেলার অন্তর্গত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বুধবার বেলা ১টায় নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক এ কে এম আসাদুজ্জামান।

সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাঞ্জাল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবু সালেহ, গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, বাধাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি মিয়া, চড় আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসরাফুল ইসলাম, গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসিদুল গনি, মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, দেলুবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম, জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে আমার দীর্ঘদিনের প্রেম, সেই প্রেমের স্বীকৃতি স্বরূপ বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তাই আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং আমি যেন তার সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে পারি সেজন্য সমর্থন ও সার্বিক সহযোগিতা আমার একান্ত প্রয়োজন। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আমার দুয়ার সবসময় আপনাদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমি আমৃত্যু আপনাদের পাশে থেকে অতীতের ন্যায় কাজ করে যেতে চাই। অতীতের যে কোন সময়ের থেকে জেলা পরিষদকে কার্যকরি করে গড়ে তুলবো ও রাজশাহীর সার্বিক উন্নয়নে জেলা পরিষদ যেন কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্য কাজ করে যাবো। 

তিনি আরো বলেন, সরকার প্রদত্ত যে বরাদ্দ আসবে আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে তার সুষম বন্টন করবো। আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে আমি বাকি জীবন পার করতে চাই। আপনাদের উপস্থিতি ও আপনাদের মতামত আমাকে আগামীদিনের প্রেরণা যুগিয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমি বিজয় হবো ইনশাল্লাহ।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে অনিল কুমার সরকার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন। সুতরাং সেই প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান কর্তব্য। জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধাচরণ করা মানে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করা। কাজেই যারা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

তিনি আরো বলেন, দলের বিরুদ্ধাচরণ করে যিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাকে রাজনৈতিক ভাবে বয়কট করে ব্যালেটের মাধ্যমে জবাব দিয়ে আগামী ১৭ অক্টোবর জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত প্রার্থী মীর ইকবালকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি আমরা উপহার দিবো। 

সভায় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নিবেদিত তৃণমূল থেকে উঠে আসা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে আমাদের রাজশাহীবাসীকে সম্মানিত করেছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত প্রার্থী মীর ইকবালকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সম্মান আমরা ধরে রাখবো। 

বক্তারা আরো বলেন, এই নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের পদে আসীন হয়ে আওয়ামী লীগ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা মনোনিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান করবে তাদের আমরা রাজনৈতিক ভাবে প্রতিহত করে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সমুচিত জবাব দিবো। 

উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমানুল হাসান দুদু, জাকিরুল ইসলাম সান্টু, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহ্ফুজুল আলম লোটন, রেজাউল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ চিন্ময় কান্তি দাস, মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, সদস্য আশরাফ উদ্দিন খান, আলিমুল হাসান সজল, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলে বেজবি আল হাসান মুঞ্জিল, বাসুদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম, দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন, মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, পাকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু, কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী চৌধুরী, পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দীন বাবু, চাঁন্দুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খান, ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিন বিশ^াস, বাকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম, কিসমতগনকৌড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কালাম আজাদ, পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী, ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার আলী, জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ।