বাস শ্রমিক ও অটোরিকশা চালকের দ্বন্দ্বের জেরে নওগাঁ বালুডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন বাস-শ্রমিকরা। এতে বিভিন্ন পথে চলাচলকারী যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছে। বিকল্প হিসেবে জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীরা অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত গাড়িতে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
কয়েকজন বাস শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে একটি বাস টার্মিনালে ঢুকছিল। এ সময় সড়কের পাশে অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ওই সময় বাস চালক অটোরিকশাটি সরে নিতে বললে ওই চালক বাসের ড্রাইভার ও হেলপারকে কলার ধরে কিল-ঘুষি মারেন। এরই প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বাস শ্রমিকরা নওগাঁ থেকে আভ্যন্তরীন সব রুটে বাস-চলাচল বন্ধ করে দেন।
ব্যক্তিগত কাজে পত্নীতলা উপজেলায় যাবেন আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছি। সেই সঙ্গে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। গৃহবধূ কথা আকতার নিয়ামতপুর উপজেলা থেকে ছোট ছেলেকে নিয়ে বগুড়া গেছিলেন বেড়াতে। আজ সকালে বাড়ি যাওয়ার জন্য বগুড়া থেকে বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখে বাস বন্ধ। শারমিন বলেন, এখন কীভাবে বাড়ি যাবো বুঝতেছি না। একটু কিছু হলেই বাস-চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এইটা ঠিক না। বাস-চলাচল স্বাভাবিক রেখে তারা নিজেরা বসে এইটা ঠিক করতে পারে। অযথা যাত্রিদের কষ্ট দেওয়া হয়।
বাসচালক আবুল কাশেম বলেন, টার্মিনাল থেকে যখন কোনো বাস ছেড়ে দেওয়া হয় এর তিন মিনিটের মধ্যে জলিল পার্কে গিয়ে পৌঁছাতে হয়। কিন্তু টার্মিনালের এই অংশে অবৈধ যানচলাচলের জন্য সমস্য হয়। এমনকি দুর্ঘটনাও ঘটে। তাই আমাদের দাবি টার্মিনালের এই অংশে যাতে করে কোনো অবৈধ যান চলাচল করতে না পারে।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাহার হোসেন বলেন, গতকাল বিকেল টার্মিনালে একটি বাস ঢুকছিল। এসময় টার্মিনালের পাশে বাসের তিনজনকে মারধর করে অটোরিশা চালক। এর প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে শ্রমিকরা গাড়ি চালানো বন্ধ করে রেখেছে। এখন প্রশাসনিক, মালিক পক্ষ ও শ্রমিক পক্ষ বসতে হবে।
জেলা বাস মালিক সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত এটা সমাধানের।
তবে এবিষয়ে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।