২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৪৪:৫২ অপরাহ্ন


রাজশাহীর সেই কিশোর গ্যাং লিডার হেরোইনসহ গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৯-২০২২
রাজশাহীর সেই কিশোর গ্যাং লিডার হেরোইনসহ গ্রেপ্তার ফাইল ফটো


রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার্থী সামিউল আলমকে জ্বলন্ত সিগাটেরে ছ্যাঁকা নির্যাতনের ঘটনার মামলার পলাতক আসামী, কিশোর গ্যাং লিডার ও মাদক ব্যবসায়ী রবিউল আউয়ালকে হিরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকার সাভার এলাকা থেকে র‌্যাব-৪ এর নবীনগর ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
র‌্যাব জানায়, রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার নবীনগর বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন আব্দুল্লাহ হোটেল এ্যান্ড রেষ্টুরেন্টের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে র‌্যাবের আশুলিয়া ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আশিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রবিউল আওয়ালকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। আশুলিয়া থানায় মামলা নং ৪০।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, র‌্যাব-৪ নবীনগর ক্যাম্পের সদস্যরা ডিউটি চলাকালীন গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে ঢাকা নবীনগর বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন আব্দুল্লাহ হোটেল এ্যান্ড রেষ্টুরেন্টের সামনে এক ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এই সময় র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্দেহভাজন একজনকে ঘটনাস্থল হতে পালানোর চেষ্টা করতে দেখে র‌্যাবের সংগীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় তাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় তার দেহ তল্লাশী করে তার পরিহিত প্যান্টের ডান পকেট থেকে নিজ হাতে বের করে দুটি সাদা পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগে হেরোইন যার ওজন ৯০ গ্রাম এবং আনুমানিক মূল্য লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। পরে র‌্যাব-৪ আশুলিয়া ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আশিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রবিউল আওয়ালকে আসামী করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।
গ্রেপ্তারকৃত রবিউল আউয়াল এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার ও চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। সে এলাকায় দাপটের সহিত রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। তার রয়েছে ১৫-২০ সদস্যের সন্ত্রাসীদল। এর আগে এই রবিউল আউয়াল গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়ের মাঠ এলাকার এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী সামিউল আলমকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে নির্জন ইট-ভাটায় দু-দফার মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ও জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে অজ্ঞান করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা দায়ের হলে তার পর থেকেই সে পলাতক ছিলো। তার বাড়ীতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এই মামলার অন্য আসামীরা হলেন, উপজেলার লস্করহাটি গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং লিডার মেহেদী পলাশ (২২)। মাদক ব্যবসায়ী মুক্তি খাতুনের ছেলে শাহরিয়ার জয় (২৪) , গড়ের মাঠের মাদক সম্রাট আব্দুল মালেকের দুই ছেলে জাহিদ হোসেন (১৮) ও তারেক হাসান (২০) এবং লস্করহাটি এলাকার সাগর (২২)।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় আশুলিয়া থানায় র‌্যাবের অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করেছে। শিক্ষাক্ষার্থী নির্যাতন মামলায় অন্যন্য আসামিরা পালিয়ে থাকায় তাদের গ্রেপ্তর করা সম্ভয় নি। তবে অভিযান অব্যহত আছে বলে জানান।