২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:০৬:৪৫ অপরাহ্ন


মার্কিন আর্থিক স্বচ্ছতা তালিকায় নেই বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৯-২০২২
মার্কিন আর্থিক স্বচ্ছতা তালিকায় নেই বাংলাদেশ ফাইল ফটো


আর্থিক স্বচ্ছতায় আন্তর্জাতিক নূ্যনতম মানদণ্ড রাখার চেষ্টা করেনি বাংলাদেশ। ফলে এ তালিকায় ঠাঁইও হয়নি। এমনটাই জানানো হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২২ সালের আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে। গতকাল শনিবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। যেসব দেশ মার্কিন আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করে সে দেশগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ২০২২ সালে ১৪১টি দেশের আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটি। সেখানে যে দেশগুলো নূ্যনতম মানদণ্ড রাখতে পারেনি তাদের বিষয়ে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে যে দেশগুলো মানদণ্ডে পৌঁছাতে অগ্রগতি করেছে, তাদের বিষয়েও বলা হয়েছে।

এতে ফিলিস্তিনসহ চলতি বছর ১৪১ দেশের সরকারের মধ্যে ৭২টি আর্থিক স্বচ্ছতার নূ্যনতম শর্ত পূরণ করেছে। ৬৯টি দেশ নূ্যনতম শর্ত পূরণই করতে পারেনি এবং ২৭টি দেশ নূ্যনতম শর্তের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

যে দেশগুলো মার্কিন আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করে থাকে, সেই দেশগুলোর সরকার জনগণের নেওয়া করের অর্থ কীভাবে খরচ করে এবং অর্থের কার্যকর আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নাগরিকদের জানাতে এ প্রতিবেদন করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। যাতে করে জনগণ সরকারকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে পারে। সেই সঙ্গে এটি বাজারের আস্থা ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আসে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে বলা হয়, আর্থিক স্বচ্ছতার দিক থেকে নূ্যনতম মানদণ্ড রাখার বিষয়ে কোনো চেষ্টাই করেনি সরকার। তবে আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ বছরই প্রথম বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আর্থিক স্বচ্ছতার দিক থেকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। সরকার এ সময়ে নির্বাহী বাজেট প্রস্তাব এবং বিস্তৃত বাজেট প্রণয়ন করেছে। এ ছাড়া জনগণের কাছে যাতে সহজে বাজেট পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও করেছে।

 বাংলাদেশের ঋণ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জনগণের কাছে সহজলভ্য করেছে। সরকারের খরচের পরিকল্পনা, রাজস্ব কীভাবে আয় করবে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে আয়ের বিষয়টিতেও বাজেট নথিতে যুক্তিসংগত পূর্ণাঙ্গ তথ্য সরবরাহ করেছে সরকার। এ ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক বরাদ্দ এবং তাদের আয়ের বিষয়টিও বাজেটে জনগণের জন্য সহজলভ্য করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কীভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা আনতে পারে, প্রতিবেদনে তার চারটি সুপারিশও করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি অনুযায়ী বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। সর্বোচ্চ নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষকে স্বাধীনতা ও পর্যাপ্ত জনবলসহ প্রয়োজনীয় সম্পদ দিতে হবে, আর এটি নিশ্চিত করতে হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী। নিরীক্ষা প্রতিবেদন সময়মতো প্রকাশ করতে হবে। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হবে এবং এতে নিরীক্ষার সুপারিশ ও বর্ণনা থাকতে হবে।