২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:৫৮:০১ অপরাহ্ন


বাংলাদেশ-চীনের যত মৈত্রী সেতু
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৯-২০২২
বাংলাদেশ-চীনের যত মৈত্রী সেতু ফাইল ফটো


৪৫ বছর পূর্বে বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে আজ পর্যন্ত চীন সরকার চায়নাএইড কাঠামোর আওতায় বাংলাদেশে আটটি সেতু নির্মাণ করেছে। এগুলো সব বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নামে পরিচিত। সর্বশেষ চীনের অর্থায়নে পিরোজপুরের কঁচা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু।

বুড়িগঙ্গা সেতু হলো বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতু। এটি প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু হিসেবেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে তৈরি করেছে। সেতুটি ৭২৫ মিটার দীর্ঘ। এই সেতু নির্মাণ শুরু হয় ৮০-এর দশকে এবং শেষ হয় ১৯৮৯ সালে। ঐ বছর সেতুর উদ্বোধন হয়।

দ্বিতীয় সেতুটি ময়মনসিংহ অঞ্চলের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর বয়ে চলা একমাত্র করিডোর। ময়মনসিংহ শহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রের ওপর ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

তৃতীয় সেতুটি বাংলাদেশের আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম পরিবহনের জন্য মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত প্রধান সেতু। মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত হয় ৪৪৮ দশমিক ৩ মিটার দীর্ঘ বাংলাদেশ-চীন তৃতীয় মৈত্রী  সেতু। ১৯৯৩ সালের ২৩ জুন মহানন্দা সেতুটি চালু হয়।

চতুর্থ সেতুটি পঞ্চগড়ের করতোয়া  নদীর ওপরে অবস্থিত প্রথম সড়ক সেতু। ১৯৮৮ সালে পঞ্চগড় জেলা শহরের প্রবেশ মুখে করতোয়া নদীর ওপর ২৭৫ মিটারের সেতুটি নির্মিত হয়। এই সেতু পঞ্চগড়ের সঙ্গে দেশের অন্য প্রান্তের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।

ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলের উপর নির্মিত পঞ্চম সেতু। ২০০২ সালে নির্মিত হয়। গাবখান চ্যানেলের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে পঞ্চম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু, যেটি গাবখান সেতু নামেও পরিচিত। বরিশাল-খুলনা মহসড়কের ঝালকাঠিতে নির্মিত এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে। পাশাপাশি এই সেতু দেখতে আসেন অনেক দর্শনার্থী। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যে কয়টি সেতু রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উঁচু এই গাবখান সেতু। যার স্ট্যান্ডার্ড হাইট ওয়াটার লেভেল থেকে ৬০ ফুট উঁচু।

ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নাম মুক্তারপুর সেতু। ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার মধ্যে সরাসরি যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ১৫২১ মিটার দীর্ঘ মুক্তারপুর সেতুর নির্মাণকাজ ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সম্পন্ন হয়। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় মুন্সীগঞ্জ ও তার আশেপাশের অঞ্চলগুলো থেকে ঢাকা মহানগরীতে শাকশবজি ফলমূলসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য সহজেই পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে।

মাদারীপুর সদর উপজেলার কাজীরটেক নামক স্থানে আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর প্রায় ৭০০ মিটার দীর্ঘ সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চীনের আনহুই কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ ২০১৩ সালের মার্চে এর নির্মাণকাজ শুরু করে। এর সঙ্গে আরো চারটি ছোট সেতু ও সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়।