২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:২৯:১৩ অপরাহ্ন


১৫ মাসে নিহত মিয়ানমারের ১৫০০ সেনা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৯-২০২২
১৫ মাসে নিহত মিয়ানমারের ১৫০০ সেনা ফাইল ফটো


মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যে ২০২১ সালের মে থেকে এ পর্যন্ত গেল ১৫ মাসে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত ১ হাজার ৫০০ সেনা নিহত হয়েছে। একই সময়ে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন দেড় শতাধিক সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধা। মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

২০২১ সালে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের জেরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই বছরের মে থেকে এ অঞ্চলে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই গোলাগুলি, বিমান ও কামান হামলার খবর পাওয়া গেছে।

অঞ্চলটিতে মিয়ানমারের স্থানীয় রাজনৈতিক দল কারেন্নি ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টির সশস্ত্র শাখা ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ), কারেন আর্মিসহ (কেএ) আরও কয়েকটি সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে প্রতিবেশী দক্ষিণাঞ্চলীয় শান প্রদেশের স্থানীয় বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী।

প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো দাবি করছে, কায়াহ রাজ্যের বেসামরিক নাগরিক এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের নথিপত্র সংগ্রহকারী প্রগ্রেসিভ কারেন্নি পিপলস ফোর্স (পিকেপিএফ) বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বলেছে, গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কায়াহতে ১ হাজার ৪৯৯ সেনা এবং ১৫১ প্রতিরোধ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ওই প্রদেশে অন্তত ৪৫৪টি আগুনের ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া দেশটির এই সামরিক বাহিনী একই সময়ে আরও ২৬১ জনকে গ্রেফতার করেছে।

এ ছাড়া বিগত এক বছরেরও বেশি সময়ে ওই অঞ্চলে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ও বেসামরিক লক্ষ্যে ১৫৮ বার বিমান হামলা চালিয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর বিমান ও কামান হামলা এবং অগ্নিসংযোগে ১ হাজার ১৮০টি বাড়ি পুড়ে গেছে এবং ২৫টির মতো ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে।

ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত কায়াহ থেকে অন্তত ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। রাজ্যের প্রবেশমুখগুলো বন্ধ করে দেয়ায় খাদ্য সংকটে রয়েছে সেখানকার মানুষ।

গেল বছর ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চি-র নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে দেশটির সামরিক বাহিনী। সামরিক সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দেশজুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছে দেশটির নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ক্ষমতা গ্রহণের পর সামরিক বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ।