২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ০৯:৫৬:২৪ অপরাহ্ন


নৈশপ্রহরী দিয়ে রাজশাহীতে ওএমএস কর্মসূচি মনিটরিং!
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৯-২০২২
নৈশপ্রহরী দিয়ে রাজশাহীতে ওএমএস কর্মসূচি মনিটরিং! নৈশপ্রহরী দিয়ে রাজশাহীতে ওএমএস কর্মসূচি মনিটরিং!


সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীতেও শুরু হয়েছে খোলা বাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি (ওএমএস)। এ কার্যক্রম তদারকির জন্য কর্মকর্তাদের নিয়ে জেলা খাদ্য অধিদপ্তর থেকে একটি মনিটরিং টিম করা হয়েছে। তবে কর্মকর্তার পাশাপাশি কর্মচারী দিয়েও মনিটরিং কার্যক্রম চালানোর খবর পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তদারকির দায়িত্ব পেয়েছেন ডাটা এন্ট্রি পদে কর্মরত মো. আবু হায়দার আনোয়ার উজ্জামান। ভেহিক্যাল মেশিন চালক এস এম সেলিম রেজা পেয়েছেন শিরোইল কলোনি এলাকার তদারকির দায়িত্ব। অফিস সহকারী রুবি পারভিন পেয়েছেন লিচু বাগান এলাকার দায়িত্ব। স্প্রেম্যান সুমন আলী ও ইসতিয়াক আহম্মেদ পেয়েছেন বেলদারপাড়া ও নগরপাড়া মোড়ের দায়িত্ব। নৈশপ্রহরী খোন্দকার আব্দুল আলীম পেয়েছেন সিঅ্যান্ডবি মোড়ের দায়িত্ব।

এ নিয়ে খোন্দকার আব্দুল আলীমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের সিকিউরিটিগার্ড। আজ আমার ডিউটি ছিল না। তবে আমি তদারকির দায়িত্ব পেয়েছি। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার যারা আছি তারাই যথেষ্ট। এছাড়া দরকার পড়লে উপজেলা থেকে কর্মকর্তা আনানো যাবে। তবে সেটি না করে নৈশপ্রহরী আমাদের দায়িত্ব পালন করে। এটি আমাদের জন্য খুব লজ্জার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার সাধারণত কোনো অনিয়ম করি না। কিন্তু কর্মচারীরা অনেক সময় সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রে অনিয়ম করে। পরদিন সেই কেন্দ্রে আমরা গেলে ডিলাররা আমাদের তাদের সঙ্গে তুলনা করে। এটি নিয়ে আমাদের সঙ্গে ডিলারদের প্রায়ই দ্বন্দ্ব লেগে যায়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দিলদার মাহমুদ বলেন, আমাদের লোকবলের সংকট রয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন পদের লোকবলকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে নৈশপ্রহরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কি-না সে বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।