অন্য রোগের মধ্যে মাথাব্যথাকে আমরা সবচেয়ে কম গুরুত্ব দিই। যতক্ষণ না পর্যন্ত এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যত্যয় না ঘটায়। মাইগ্রেন সে ধরনেরই মাথাব্যথা।
মাইগ্রেনের মাথাব্যথা প্রায় প্রতিদিনই হয় না, এই ব্যথা সাধারণ হঠাৎ করে মাঝেমধ্যে হয়ে থাকে। মাসে একবার বা সপ্তাহে একবার বা দু-তিন মাস পর পর প্রচণ্ড মাথাব্যথা হতে পারে। ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের এই ব্যথা অন্যদের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে।
দীর্ঘ সময় এই ব্যথা স্থায়ী হলে পুরো মাথাব্যথা হয়, যা ৪ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে।
মাইগ্রেনের ব্যথার আরেকটি লক্ষণ হলো, ব্যথার সঙ্গে দেখা যায় বমি বমি ভাব, অনেকের বমি হয়। এ ছাড়া ব্যথার সময় আলো অথবা শব্দ এগুলো সহ্য করা যায় না।
যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তারা দুটি অভ্যাস এড়িয়ে চললে ভালো। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
পেট খালি না রাখা: দীর্ঘক্ষণ পেট খালি থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বা সমস্যা শুরু হতে পারে। পেটে খালি থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মাথা চাড়া দেয়, যা মাইগ্রেনের ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রচুর জল পান করুন। কারণ ডিহাইড্রেশন মাথাব্যথার বড় কারণ।
আবহাওয়া: অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরির কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরম, অতিরিক্ত আর্দ্রতার তারতম্যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে।
চিকিৎসা ছাড়া দীর্ঘদিন মাইগ্রেনে ভূগোলে ডিপ্রেশন এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ রকম সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে।