১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ১২:০৪:১৩ পূর্বাহ্ন


উস্‌কানিমূলক পোস্ট-ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৮-২০২২
উস্‌কানিমূলক পোস্ট-ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের ফাইল ফটো


ভুয়া ও বানোয়াট খবর সংবলিত উস্‌কানিমূলক ফেসবুক পোস্ট ও ইউটিউব ভিডিও অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত ৬টি ভিডিও দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এমন উস্‌কানিমূলক ভিডিও সরাতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মনিরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ খান ও ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

উস্‌কানিমূলক ও জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি করে এমন ভুয়া সংবাদ এবং ভিডিও সরিয়ে ফেলতে ফেসবুক ও ইউটিউবের বিরুদ্ধে গত রোববার (২৮ আগস্ট) জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী নিলুফার আনজুম ও ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।

রিটে উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে উস্‌কানিমূলক পোস্টের ওপর নজর রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা এবং জনজীবনের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। ভুয়া তথ্য রাষ্ট্রযন্ত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে, যা সংবিধানের ২৭,৩১,৩৮ এবং ৪৪ ধারার লঙ্ঘন। বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৩০, ৬৪, ৭৬ ও ৯৭/এ ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ৮, ১৩, ১৬,২৫ ধারা লঙ্ঘন হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৪৬ ধারাও।

এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি দেখা গেছে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করা এবং দেশে অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশ্যে এমন কাজ করা হচ্ছে।

রিটে দাবি করা হয়, বিটিআরসি ও ডিএসএ’র স্পষ্ট নীতি ও ফেসবুক-ইউটিউবের সাম্প্রতিক রেগুলেশন না জানার কারণে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ছে এবং সহিংসতা ও অস্থিরতা তৈরি করছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করা এসব ভিডিও তাদের নিজেদের নীতি পরিপন্থি।

এর আগে গত ২১ আগস্ট এই দুই আইনজীবীর পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান। সেখানে কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশে সহিংসতা এবং জনসাধারণের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন ভুয়া ও বানোয়াট সংবাদ সংবলিত ফেসবুক পোস্ট এবং ইউটিউব ভিডিও সরিয়ে ফেলতে বলা হয়।

ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশের পাবলিক পলিসিবিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহা-পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।