২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:৩৯:০৭ পূর্বাহ্ন


চিনের 'উদ্বেগ' বাড়িয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে আমেরিকার রণতরী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৮-২০২২
চিনের 'উদ্বেগ' বাড়িয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে আমেরিকার রণতরী ফাইল ফটো


তাইওয়ানকে ঘিরে নয়া উত্তেজনা চিন এবং আমেরিকার মধ্যে। রবিবার আমেরিকার নৌবাহিনীর তরফে জানা গিয়েছে, তাদের দু'টি রণতরী তাইওয়ান প্রণালীর দিকে এগোচ্ছে। আমেরিকার নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর, আমেরিকার এই পদক্ষেপকে স্বভাবতই ভাল চোখে দেখছে না চিন।

চিনের সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, তারা এই বিষয়ে কড়া নজর রাখছে এবং কোনও রকম প্ররোচনা সৃষ্টির চেষ্টা হলে তারা তার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বলতেও জানিয়েছে।

আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত ইউএসএস আন্তিয়েতাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল নামক এই দু'টি ক্ষেপণাস্ত্র বহনক্ষমতা সম্পন্ন রণতরী তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে 'রুটিন মহড়া' চালাবে। এই বিষয়ে আমেরিকার যুক্তি, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত এবং অবাধ রাখার জন্যই তাদের এই পদক্ষেপ। এই বিষয়ে তাদের আরও যুক্তি, আন্তর্জাতিক আইন মেনে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে উড়োজাহাজ কিংবা রণতরীর মাধ্যমে সামরিক মহড়া চালাতে পারে আমেরিকা।

প্রসঙ্গত অগস্ট মাসে পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চিন-আমেরিকার স্নায়ুযুদ্ধ বৃদ্ধি পায়। পেলোসি তাইওয়ান সফরের দিন থেকেই দফায় দফায় সেই দেশের উপর দিয়ে বোমারু বিমান উড়িয়ে সামরিক মহড়া চালিয়ে যেতে থাকে চিন। এখনও সেই মহড়া চলছে। এর মধ্যেই আমেরিকার তাইওয়ান প্রণালীতে রণতরী পাঠানোর সিদ্ধান্তে সঙ্কট আরও বাড়ল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সাম্প্রতিক অতীতে এই প্রণালী ধরে ব্রিটেন এবং কানাডা সামরিক মহড়া চালাল‌ে চিন প্রকাশ্যেই তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিল।

তাইওয়ানকে চিন সর্বদাই নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করলেও আমেরিকা তাইওয়ানের স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। তাইওয়ান সরকারের পাশে আমেরিকার প্রত্যক্ষ ভাবে দাঁড়িয়ে পড়াকে কোনও দিনই ভাল চোখে দেখেনি চিন।