২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০২:১৯:৫২ পূর্বাহ্ন


নতুন মজুরি নির্ধারন কাজে ফিরছেন চা-শ্রমিকেরা
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৮-২০২২
নতুন মজুরি নির্ধারন কাজে ফিরছেন চা-শ্রমিকেরা নতুন মজুরি নির্ধারন কাজে ফিরছেন চা-শ্রমিকেরা


দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকা করার দাবিতে টানা ১৫ দিন ধর্মঘট পালন করেন চা-শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে শনিবার (২৭ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রী বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নতুন মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেন। যা মেনে নিয়ে কাজে ফিরতে সম্মতি জানায় চা-শ্রমিকেরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও মৌলভীবাজারের কিছু কিছু চা-বাগানের শ্রমিকরা কাজে নেমেছেন।


|আরো খবর

হবিগঞ্জে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত

আন্দোলনরত চা-শ্রমিকদের তোপের মুখে পরিবেশ মন্ত্রী

ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছে চা-শ্রমিকেরা

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমরা তা মেনে নিবো। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী মালিকদের সঙ্গে বসে মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। তাই আমরা আজ থেকেই কাজে নেমেছি।


ফিনলে চা কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, আমাদের চা বাগানের শ্রমিকরা সবাই কাজে নেমেছেন। সবাই কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী চা-শ্রমিকরা নতুন মজুরি ১৭০ টাকা পাবেন। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী তাদের পেছনে বাগানের দৈনিক ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হবে।

চা-শ্রমিকরা কাজে নামলেও নতুন নির্ধারিত ১৭০ টাকা মজুরির ঘোষণার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে চা-শ্রমিকদের মাঝে।

ভাড়াউড়া চা-বাগানের শ্রমিক দুলাল হাজরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমরা তা-ই মেনে নিয়েছি। আমরা এখন বাগানের জন্য কাজ করবো। যদিও ১৭০ টাকায় আমাদের এই সময়ে চলাফেরা কষ্ট হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাই আমরা কাজে নেমেছি।

উল্লেখ্য,দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট আন্দোলনে নেমেছিলেন শ্রমিকরা। শুরুতে প্রথম কয়েকদিন কেবল ৪ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। কিন্তু মালিক পক্ষ এ সময়ের মধ্যে বৈঠক বা সমঝোতায় না আসায় ১৩ আগস্ট থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা।