২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৯:০৪:০১ অপরাহ্ন


ইউক্রেন নিয়ে প্রথমবার রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৮-২০২২
ইউক্রেন নিয়ে প্রথমবার রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত বিদ্যুৎ খরচ কমাতে বাংলাদেশে সরকারি অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা


অতীতে ইউক্রেন সংকট নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা দু’টি প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত। রাশিয়ার আনা প্রস্তাবেও ভোট দেয়নি। সেই সময় ভারতের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার ফের ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করা ও সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব জানিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পারিষদে ফের ভোটাভুটি হয়। সেখানে প্রথমবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয় ভারত। 

ইউক্রেনে লাগাতার আক্রমণ বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে বুধবার রাতের অধিবেশনে আলোচনা হয়। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওই বৈঠকে ভারতের তরফে হিংসা ছেড়ে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দেয় ভারত।

গত ছ’মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ, সাধারণ সভা এবং মানবাধিকার পরিষদে ইউক্রেন ইস্যুতে একাধিক প্রস্তাব আনে আমেরিকা সহ পশ্চিমী দেশগুলো। প্রতিবারই সেখানে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে নয়াদিল্লি। এই প্রথমবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। দিল্লির বক্তব্য, যে কোনও বিতর্ক একমাত্র আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে। ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, এক্ষেত্রে কূটনীতির পথ পরিত্যাগ করা হয়েছে। রাশিয়া আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলে ফল ভাল হত।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসঙ্ঘে যেকোনও প্রস্তাবনা গৃহীত হওয়ার জন্যই মোট সদস্যের দুই তৃতীয়াংশের মত সপক্ষে থাকার প্রয়োজন হয়। যে দেশগুলি রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করে এই প্রস্তাবনায় সম্মতি দিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল আফগানিস্তান, কানাডা, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, টার্কি, ইউক্রেন, ইংল্যান্ড ও আমেরিকা।

রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকার আনা প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যাবে বলেই পর্যবেক্ষকদের ধারণা। সেক্ষেত্রে হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল থেকে বাদ যাবে রাশিয়ান ফেডারেশন। ফের ওই দেশকে কাউন্সিলের সদস্যপদ দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে বিবেচনা করা হবে পরে। ২০০৬ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জে পাশ হওয়া একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, কোনও দেশ যদি ধারাবাহিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, তাহলে তাকে হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল থেকে সাসপেন্ড করা হবে।