২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ০৯:৫৯:২৮ অপরাহ্ন


বগুড়ায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৮-২০২২
বগুড়ায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার বগুড়ায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার


বগুড়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও বালু ব্যবসায়ী আখের আলীর (৪০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নন্দীগ্রাম পৌরসভার ওমরপুর এলাকায় একটি ধানক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত বগুড়া শহরতলীর সাবগ্রাম চান্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে আখের আলী

আখের আলীর নামে তার আপন বড় ভাই রাশেদ, যুবলীগ নেতা মানিক ও বালু ব্যবসায়ী সবুজ হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার নামে ডাকাতির প্রস্তুতি, ছিনতাইসহ আরো ৭-৮টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, সোমবার সকালে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের পাশে নন্দীগ্রাম পৌরসভার ওমরপুর এলাকায় একটি ধান ক্ষেতে স্থানীয় লোকজন গলাকাটা অজ্ঞাত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ধানক্ষেতের পাশের জঙ্গলে একটি কালো রঙের পালসার মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ।

এলাকায় অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আখের আলী সরাসরি রাজনীতি না করলেও সরকারি দলের নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুবলীগ নেতা মানিক ও বালু ব্যবসায়ী সবুজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন আখের আলী। নিজের বড় ভাই রাশেদের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে ভাবিকে বিয়ে করতে ভাইকেও খুন করেন আখের আলী। পরে আখের আলীর ভয়ে তার ভাবি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি লেবাননে শ্রমিকের কাজ করেন। মাস ছয়েক আগে জামিনে জেল থেকে বের হন আখের আলী। এরপর তার নামে কোনো অভিযোগ এলাকায় নেই।

রোববার সন্ধ্যার পর সাবগ্রামের পার্শ্ববর্তী ফনির মোড় এলাকার বাপ্পী নামের এক বালু ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেল চেয়ে নেন আখের আলী। লাশ উদ্ধারের পর সেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে তার ঘনিষ্ঠ জন ডেকে এনে আখের আলীকে গলাকেটে হত্যা করেছে। আখের আলীর নামে হত্যাসহ অসংখ্য মামলার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।