১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১১:০৪:২৮ পূর্বাহ্ন


ডার্ক চকোলেট যে কারণে উপকারী
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৮-২০২২
ডার্ক চকোলেট যে কারণে উপকারী ফাইল ফটো


আপনার মন খারাপকে নিমিষে উড়িয়ে দিতে পারে ডার্ক চকোলেট। এদিকে অনেকে আবার ওজন বৃদ্ধির ভয়ে চকোলেট এড়িয়ে চলতে চান। তবে পরিমিত খেলে কোনো ভয় নেই। তাতে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে না বরং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে সমাধান করে শরীরের নানা সমস্যার। ডার্ক চকোলেট খেলে মেলে অনেক উপকার।

ডার্ক চকোলেট যে কারণে উপকারী: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে ভরপুর ডার্ক চকোলেটে আছে ফ্লেভানলস নামক উপাদান, যা নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে। আমাদের পুরো শরীরে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই চকোলেট। ফলস্বরূপ হার্টের সমস্যাও কমে অনেকটাই। ডার্ক চকোলেটে আছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, কপার ও ফসফরাস। এসব উপাদান আমাদের শরীরের জন্য নানাভাবে উপকার করে। তাই সুস্থ থাকার জন্য ডার্ক চকোলেট খাওয়া জরুরি।

ডার্ক চকোলেট হার্ট ভালো রাখে: বিভিন্ন গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুধু বয়স্কদের ক্ষেত্রেই নয়, কম বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছে এই অসুখে। এদিকে আপনি যদি নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খান তবে হৃদরোগের ভয় কমে যাবে অনেকটাই। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্টস বৈশিষ্ট্য হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেবে ৫৭ শতাংশ। এটি আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমাতে সাহায্য করে। তাই ভালো থাকে হার্ট।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে: ডার্ক চকোলেট খেলে মন ভালো হয় একথা অনেকেরই জানা। এর কারণ কী তা জানেন? এর কারণ হলো ডার্ক চকোলেটে আছে কিছু কার্যকরী উপাদান। আপনি যখন ডার্ক চকোলেট খাবেন তখনই মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্টিকাল রিজিওনে গামা ফ্রিকোয়েন্সির মাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। ফলে বৃদ্ধি পাবে মস্তিষ্কের ক্ষমতা এবং বাড়বে স্মৃতিশক্তি।

নিয়ন্ত্রণে রাখে ওজন: চকোলেট খেলে ওজন বাড়ে এমনটাই শুনে এসেছেন এতদিন। কিন্তু এখন শুনছেন উল্টোটা! কারণ বিশেষজ্ঞরা এমনটাই বলছেন। ডার্ক চকোলেট খেলে সত্যিই নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার ওজন। এই চকোলেটে আছে অনেক উপকারী উপাদান যা আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে মেটাবলিজম রেটের উন্নতি করে থাকে। ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মেদ জমার আশঙ্কা কমে অনেকটাই। চকোলেট খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে তাই বারবার ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমে। ফলে খাওয়াও কম হয়। এতে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম হয়।