২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৯:২৬:৩৮ অপরাহ্ন


ভারত মহাসমুদ্রে মহা শক্তিশালী চিনা যুদ্ধজাহাজ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৮-২০২২
ভারত মহাসমুদ্রে মহা শক্তিশালী চিনা যুদ্ধজাহাজ ফাইল ফটো


সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সূত্রে চিনের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কিছু উপগ্রহচিত্র পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে বিপুল আলোচনা চলছে। স্যাটেলাইট চিত্রগুলি ইঙ্গিত করে যে আফ্রিকার শিংয়ের কাছে, জিবৌতিতে চিনের যে নৌ ঘাঁটি স্থাপিত তা এখন সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় এবং শুধু তাই নয় এটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মোতায়েন করা চিনা যুদ্ধজাহাজকে নানা ভাবে সহায়তা দেয়।

জিবৌতিতে চিনের ঘাঁটি হল তার প্রথম বিদেশি সামরিক ঘাঁটি, যা ৫৯০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত। ২০১৬ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। এটি কৌশলগত ভাবে বাব-এল-মান্দেব প্রণালীতে অবস্থিত।বাব-এল-মান্দেব প্রণালী এডেন উপসাগর এবং লোহিত সাগরকে পৃথক করে। এই যুদ্ধজাহাজটি সুয়েজ খালের দিকেও নজর রাখে। যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেল।

নৌ বিশ্লেষক এইচআই সাটন বলেছেন, চিনের জিবৌতি ঘাঁটি সুরক্ষিত উপায়ে তৈরি করা হয়েছে। এখানকার প্রতিরক্ষার স্তরগুলি প্রায় মধ্যযুগীয় দেখায়, যদিও তা আধুনিক দিনের ঔপনিবেশিক দুর্গের মতোই তৈরি। স্পষ্ট যে, এটি সরাসরি আক্রমণ সহ্য করার জন্য নকশা করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে,প্রাপ্ত ছবিগুলি দেখায় একটি চিনা ইউঝাও-শ্রেণির ল্যান্ডিং জাহাজ (টাইপ ০৭১), যার একটি ৩২০-মিটার-লম্বা বার্থিং এলাকা রয়েছে, যা হেলিকপ্টার অপারেশনকে সাহায্য করবে। অবসরপ্রাপ্ত ভাইস অ্যাডমিরাল শেখর সিনহা এই নৌ-ঘাঁটি নিয়ে বলেছেন, ঘাঁটিটি সম্পূর্ণরূপে চালু। যদিও সেখানে আরও নির্মাণকাজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেটির প্রস্থ সংকীর্ণ, তবে এটি একটি চিনা হেলিকপ্টার ক্যারিয়ারে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট বড়।

জাহাজটির নাম চাংবাই শান। ৮০০ জন সৈন্য বহন করতে পারবে। সঙ্গে যানবাহন, এয়ার-কুশনযুক্ত ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট এবং হেলিকপ্টার মিলিয়ে মোট ২৫,০০০ টন ওজনের এক বড় মাপের যুদ্ধজাহাজ। এই বছর ভারত মহাসাগরের জলসীমায় প্রবেশ করার সময়ে এটি একটি ফ্রন্টলাইন চিনা ডেস্ট্রয়ারের সঙ্গে ছিল বলে মনে করা হয়।

আসলে এই টাইপ-০৭১ ল্যান্ডিং শিপ আকারে অনেক বড় হয় এবং অনেক ট্যাঙ্ক, ট্রাক এমনকি হোভারক্রাফ্টও বহন করতে পারে। এই ধরনের যুদ্ধজাহাজ চিনের বাহিনীর মেরুদণ্ডকেই আরও শক্ত করে। কিন্তু চিনের পার্শ্ববর্তী দেশগুলির পক্ষে এটা একটা নীরব হুমকির মতো। যেমন ভারতই চিনের এই পদক্ষেপে কিছুটা চিন্তিত। কেননা এটি সরাসরি ভারতের মূল স্যাটেলাইট সম্পদ ট্র্যাক করতে পারবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

তবে আপাতত চিনের এই জাহাজ কী করতে পারে অতল সমুদ্র দাঁড়িয়ে থেকে? আপাতত সীমান্ত নজরদারি, সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রবেশ শনাক্তকরণ এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের দিকে খেয়াল রাখার মতো কাজ চালিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।