২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন


একসঙ্গেই মৃত্যু তিন বন্ধুর
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৮-২০২২
একসঙ্গেই মৃত্যু তিন বন্ধুর ফাইল ফটো


লিমন, সিফাত ও রাজ্জাক তিন বন্ধু। একসঙ্গে পড়াশোনা করতো তারা। একই ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় চলাফেরাও করতো একসঙ্গে। অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় তিন বন্ধু পৃথিবী থেকে চলেও গেলেন একসঙ্গে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নালঘর রাস্তার মাথা এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় তারা নিহত হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ছুফুয়া ছফরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে সিফাত, লিমন ও রাজ্জাকের জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের দাফন সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় সংসদ সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ২৫ হাজার করে তিন পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছেন।

এই তিন বন্ধু উপজেলার ছুফুয়া ছফরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল। তারা হলো, উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের কিং ছুফুয়া উত্তরপাড়া গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে মোহাম্মদ লিমন (২০), একই ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে আবদুর রাজ্জাক (২০) এবং কালিকাপুর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে সিফাত হোসেন (২০)।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা কাজী শহিদুল্লাহ বলেন, তারা ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী ছিল। তিন শিক্ষার্থীর এভাবে চলে যাওয়া আমরা মেনে নিতে পারছি না। তারা খুব ভালো ছাত্র ছিলো। সিফাত বাপের একমাত্র ছেলে আর রাজ্জাক কোরআনে হাফিজ।

শিক্ষার্থীদের স্বজন ও পরিবার জানায়, তারা তিনজনই ছিলেন ঘনিষ্ট বন্ধু। বুধবার ছিলো সিফাতের জন্মদিন। তার জন্য উপহার ও কেক কিনতে মিয়াবাজার যায় তিন বন্ধু। অটোরিকশায় আসার সময় রাতে নালঘর রাস্তার মাথা এলাকায় অজ্ঞাত একটি গাড়ি চাপায় তারা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশের ওসি একেএম মনজুরুল হক আকন্দ জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি যাচ্ছিলেন, এ সময় নালঘর রাস্তার মাথা এলাকায় অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় তারা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে অটোরিকশা চালককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশাটিও আমরা উদ্ধার করেছি।

কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুব হোসেন মজুমদার বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ছুফুয়া ছফরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে সিফাত, লিমন ও রাজ্জাকের জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের দাফন সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় সংসদ সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ২৫ হাজার করে তিন পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছেন।