২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৪৭:৫০ অপরাহ্ন


সতর্কবার্তা বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর, চিনের থেকে ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন!
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৮-২০২২
সতর্কবার্তা বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর, চিনের থেকে ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন! সতর্কবার্তা বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর, চিনের থেকে ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন!


অন্যান্য সমস্ত দেশকে চিনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার আগে ভাবতে বলছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। বাংলাদেশ বর্তমানে আর্থিক সংকটে ভুগছে, ক্রমেই সেই সংকট প্রবল হচ্ছে। আর এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে ওপার বাংলা আইএমএফ অথবা ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড থেকে ঋণ চেয়েছে। এবং আইএমএফের তরফে এই ঋণ সম্মতি জানানো হয়েছে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে করোনা সংকট মোকাবিলার জন্য ৮৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে।

তবে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এএইচএম মুস্তাফা কামাল এত কিছুর মধ্যেও সকলকে সচেতন করলেন। চিনের থেকে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ ঋণ নেওয়ার আগে পৃথিবীর যে উন্নয়নশীল দেশগুলো আছে তাদের ভাবতে বললেন। গত সপ্তাহেই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। এসে তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। আর তারপরেই এমন কথা শোনা গেল বিদেশমন্ত্রী কামালের মুখে। তাঁর মতে গোটা পৃথিবী জুড়েই বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি, তাই এখন যদি কোনও দেশ ঋণ নেয় তাহলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে উন্নয়নের উপর। আর উন্নয়নের গতি কমলে তা সোজাসুজি চাপ ফেলবে বাজারের উপর।

এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গ। শ্রীলঙ্কা চিনের থেকে ঋণ নিয়েছিল পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য। আর সেই ঋণের কারণেই কিন্তু ধসে গিয়েছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। তাই তিনি বলেছেন এভাবে গরীব দেশগুলো ঋণের জালে জর্জরিত করে ভবিষ্যতে কী হতে পারে সেটার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা এবং মূল্যায়ন করা দরকার চিনের। কামাল জানান বর্তমান যে পরিস্থিতি বিশ্বের অর্থনীতি তার জন্য সকলকেই চিনকে দায়ী করছে আর চিন সেই দায় কোনও ভাবেই অস্বীকার করতে পারে না।

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে সচেতনতার সুর। তিনি জানান, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি সকলেই দেখেছে তাই তাঁদের চিনের থেকে কোনও ঋণ নেওয়ার আগে ভালো করে বিবেচনা করে তবেই ঋণ নিতে হচ্ছে। এছাড়া কাউকে ঋণ দিতে হলে একাধিক বিষয় খুঁটিয়ে দেখা উচিত। ফলে চিনকেও যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে বলেই তিনি মনে করেন।

তথ্য সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস্ বাংলা।

তবে এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য, ইতিমধ্যে আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ ঋণ চেয়েছে। তবে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা শর্ত দিয়েছে যে তাদের জ্বালানি সহ একাধিক ক্ষেত্রে সমস্ত ভর্তুকি তুলে ফেলতে হবে। আর সেই শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ জ্বালানি তেল থেকে ভর্তুকি তুলে নিয়েছে যার জেরে এই দেশে জ্বালানির দাম বেড়েছে অনেকটাই। একই সঙ্গে বাংলাদেশ তার বৈদেশিক ঋণের প্রায় ৬ শতাংশ ঋণ, অর্থাৎ ৪ বিলিয়ন ডলার নিয়েছে চিনের থেকে। তবে একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার এই আর্থন সংকট থেকে মুক্তি পেতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে চিন্তা ভাবনা করে।