২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৪০:২৪ অপরাহ্ন


আন্টার্কটিকাতেও কোভিডের থাবা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০১-২০২২
আন্টার্কটিকাতেও কোভিডের থাবা ফাইল ফটো


বরফে ঢাকা আন্টার্কটিকাতেও এবার হানা দিল কোভিড। চলতি সপ্তাহের শুরুতে আন্টার্কটিকাতে প্রথমবারের মতো করোনার প্রাদুর্ভাবের কথা জানা গিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এমনটাই জানিয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টিকাহীন ৯ জন কর্মীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনার লা এস্পেরানজার ঘাঁটিতে বসবাসকারী ৪৩ জন বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মীদের মধ্যে ২৪ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন।

হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আক্রান্তস ৯ জনকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছ। তাদের আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর্জেন্টিনা সরকারের অ্যান্টার্কটিক জাতীয় অধিদফতরের সদস্য প্যাট্রিসিয়া অর্তুজার জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকি আক্রান্ত ১৫ জনের কোনও উপসর্গ নেই। তাঁরা সকলেই করোনা টিকা নিয়েছেন। তাঁরা দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সেখানেই রয়েছেন। তাদের নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে।

২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম আন্টার্কটিকাতে করোনা রোগীর হদিশ মেলে। বরফে ঢাকা মহাদেশের চিলির একটি বেসক্যাম্পে প্রথম করোনা রোগীর খোঁজ মেলে। আন্টার্কটিকাতে গবেষণার জন্য বিভিন্ন দেশের বেস ক্যাম্প রয়েছে। আন্টার্কটিকাতে আর্জেন্টিনার ১৩ টি গবেষণা বেস ক্যাম্প রয়েছে। এরমধ্যে ৬ টি বেস ক্যাম্পই স্থায়ী। অর্তুজার এএফপিকে জানিয়েছেন, নতুন আসা কোনও ব্যক্তির মাধ্যমে সেখানে সংক্রমণের সূত্রপাত হয়েছিল। লা এস্পেরানজা বেসটি অ্যান্টার্কটিকার চরম উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এবং এটি ১৯৫২ সালে নির্মিত হয়েছিল।

করোনা সংক্রমিত ব্যক্তিরা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে টিকা নেননি। টিকা নেওয়ার জন্য তাঁরা সময় নিতে চেয়েছিলেন, ফলে অবস্থার অবনতি হলে অ্যান্টার্কটিকার চরম জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে মোকাবেলা করা কঠিন হতো। হাতে গোনা কয়েকটি দেশে এখনও থাবা বসাতে পারেনি করোনা ভাইরাস। তুর্কমেনিস্তান ও উত্তর কোরিয়া সরকার তাদের দেশে করোনা নেই বলে দাবি করলেও আসল চিত্রটা অন্যরকম বলেই মনে করেন অনেকে। এই দেশগুলির খবর বাইরে আসেনা কারণ এখানে সংবাদমাধ্যমের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। কেবলমাত্র ওশেনিয়ার দ্বীপে অবস্থিত টুভালু এবং নাউরু করোনা মহামারির হাত থেকে মুক্ত থাকতে পেরেছে। প্রতিবেশি দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গাতে নিউজিল্যান্ডের থেকে আসা এক পর্যটকের থেকে সংক্রমণের কারণে অক্টোবরের শুরুর দিকে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মেলে।

রাজশাহীর সময় /এএইচ