২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:০৯:২৭ অপরাহ্ন


মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই পুড়ছে ইউরোপ!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৭-২০২২
মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই পুড়ছে ইউরোপ! মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই পুড়ছে ইউরোপ!


গ্রীষ্মের দাপটে পুড়ছে ইউরোপ, তাপপ্রবাহের কারণে ব্রিটেনে জারি রেড অ্যালার্ট। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে টেনসহ পশ্চিম ইউরোপের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি পেরোল। ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি, গ্রীস, ইংল্যান্ড ইত্যাদি দেশগুলি গ্রীষ্ম প্রধান দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ফেলেছে। তাপমাত্রার পারদ কোথাও কোথাও ৪৩ ডিগ্রি পেরিয়ে গিয়েছে। ব্রিটেনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে, ইতিহাসে এমন নজির নেই।

২০১৯ সালে একবার ব্রিটেনের তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৩৮.৭ ডিগ্রিতে। তীব্র দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা ইউরোপের একাধিক দেশে। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন অনেকেই।  অবে হঠাৎ করেই এই গরমের কারণ কী? এর খোঁজে গবেষণা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা আর তাতেই উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই গ্রীষ্মের দাপটে পুড়ছে ইউরোপ এমনটাই জানান হয়েছে গবেষণায়।

ফ্রেডেরিক ওটো গবেষণা দলের প্রধান, দাবি করেন “জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়া আমরা যুক্তরাজ্যে ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রার শিকার হতাম না। দৈনিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চলতি বছরেই রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে যে দাবদাহে পুড়ছে ইউরোপ সহ একাধিক দেশ তা এক হাজার বছরের মধ্যে বিরল একটি ঘটনা। জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়া বিশ্বে যা প্রায় অসম্ভব।

জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ্যার অধ্যাপক মার্শাল শেফার্ড বলেছেন, “এই গরম ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের পক্ষেই বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ বেশিরভাগ বাড়ি এখানে সেভাবে তৈরি নয়। এই ধরনের তাপ তরঙ্গ ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে কমপক্ষে ৮ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে”। তিনি আরও বলেন, “গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে মানুষজনকে আরও বেশি সচেতন করতে হবে তা না হলে অচিরেই আস্ত একটা সভ্যতা ধ্বংসের মুখে তলিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা আবহাওয়ার উষ্ণায়নের পাশাপাশি আরও একটা দিক সামনে এনেছেন। তারা বলেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপ তাপপ্রবাহ আরও তীব্র, আরও ঘন ঘন এবং দীর্ঘতর হয়েছে”।

১৯৫০ সাল থেকে আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে সংস্থা জানিয়েছে, এবারের গরমকাল ছিল ইউরোপে সব চেয়ে তীব্র ও ভয়ংকর। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটা এক নজিরবিহীন ঘটনা কারণ ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ এবং ইউরোপ একটি শীতপ্রধান এলাকা বলেই চিরকাল পরিচিত। এখানকার বাড়িঘর-দোকানপাট-অফিস-স্কুল ইত্যাদি ভবনগুলো এরকম প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ার উপযোগী করে তৈরি নয়। এগুলো এমনভাবে বানানো যাতে ভবনের ভেতরে তাপ ধরে রাখা যায়। ফলে গরমে বাসিন্দারা আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন।