২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১২:১১:৩৪ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে ‘ওয়াউ ওমেন ফেস্টিভ্যাল’ অনুষ্ঠিত বাল্যবিয়ে রোধে আইনের চেয়েও সচেতনতা বেশি প্রয়োজন
আবু হেনা :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৭-২০২২
রাজশাহীতে ‘ওয়াউ ওমেন ফেস্টিভ্যাল’ অনুষ্ঠিত বাল্যবিয়ে রোধে আইনের চেয়েও সচেতনতা বেশি প্রয়োজন রাজশাহীতে ‘ওয়াউ ওমেন ফেস্টিভ্যাল’ অনুষ্ঠিত বাল্যবিয়ে রোধে আইনের চেয়েও সচেতনতা বেশি প্রয়োজন


‘বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। যে ব্যাধি করোনাকালে আরও সংক্রমিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, ৯৭ শতাংশ বাল্য বিয়ে বাবার পছন্দে হয়ে থাকে। ১৮ বছরের আগে একটি মেয়ে শিশু। ওই শিশু বিয়ের পর সে ওই পরিবেশের সঙ্গে খাপখাইয়ে নিতে পারে না। সমাজে অনেক সময় এই শিশুকে শারীরিকভাবে আঘাত করা না হলেও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। স্বামীর দ্বারা যৌন সহিংসতার শিকার হতে হয়। তাকে বাধ্য করা হয় যৌন সঙ্গমে। যা সাধারণত দেখা যায় না। আর এই বাল্য বিয়ে আইনের চোখে ধুলো ছিটিয়ে জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের সহযোগিতায় সমাঝোতার মাধ্যমেই হয়ে থাকে। একারণে এতো এতো বাল্যবিবাহ হচ্ছে। কিন্তু বাল্য বিয়ে আইনে অভিযোগ তেমন হয় না।’

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ওমেন অব দ্যা ওর্য়াল্ড ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ রাজশাহী চেপ্টার সেলিব্রেটিং ওমেন অ্যান্ড গার্লস আয়োজনের ‘বাল্যবিয়ে রোধ’ প্যানেল ডিসকাশনে এসব কথা বলেন অতিথিরা। প্যানেল ডিসকাশন পর্বে বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদকের সঞ্চালনায় স্পিকার হিসেবে ছিলেন, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিমা জোহরা, রাজশাহী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আবিদা আনজুম মিতা ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক (লিগ্যাল) অ্যাডভোকেট দিল সেতারা চুনি।

এই আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, বাল্য বিয়ে রোধে দেশে আইন আছে। তবে আইন দিয়ে বাল্য বিয়ে রোধ করা সম্ভব না। কেননা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো বলে থাকে বাল্য বিয়ে নেই। কিন্তু বিভিন্ন এনজিও পর্যবেক্ষণে দেখা যায় বাল্য বিয়ের সমস্যা প্রকট। এছাড়া সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিসহ নানা কারণে এই আইনের কার্যকর বাস্তবায়ণ হয় না। এখন বাল্য বিয়ে রোধে সচেতনতাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যেখানে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষকসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

দিনব্যাপি এই আয়োজনের স্টেজ পারফরমেন্স শুরু হয় বিকেল ৩ টায়। বিকেল সোয়া ৩ টায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাজশাহী কলেজের প্রভাষক নূরজাহান বেগমের সঞ্চালনায় স্পিকার ছিলেন, রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া, আরএমপির ভিকটিম সার্পোট সেন্টারের ইনচার্জ মোহতারামা আশরাফি খানম ও সমাজকর্মী মিফতাহুল জান্নাত। ওয়াও বিটস স্পিকার ছিলেন, হিমালয়ের আইল্যান্ড পিক জয় পবর্তারোহী সাইলা বিথি, ওমেন অ্যান্ড চাইল্ড অ্যাসোসিয়েশনের কো ফাউন্ডার ওয়াহিদা খানম, প্রথম আদিবাসী কাউন্সিলর খ্রিস্টিনা সরেন এবং বাংলার জনপদের প্রকাশক ড. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী। শেষে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।