২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:৫২:১২ পূর্বাহ্ন


বর্ষাকালেও অনাবৃষ্টি: খরতাপে পুড়ছে রাজশাহী অঞ্চলের ফসলের মাঠ
মঈন উদ্দীন:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৭-২০২২
বর্ষাকালেও অনাবৃষ্টি: খরতাপে পুড়ছে  রাজশাহী অঞ্চলের ফসলের মাঠ বর্ষাকালেও অনাবৃষ্টি: খরতাপে পুড়ছে রাজশাহী অঞ্চলের ফসলে


আষাঢ় ও শ্রাবণ বর্ষাকালের এই দুইমাস কৃষকরা রোপা-আমন ধান আবাদ করে থাকে। আষাঢ় মাসের শেষ। শ্রাবণের প্রথম হতে চললেও দেখা নেই বৃষ্টির। প্রচন্ড রোদ-তাপদাহ ও গরমে অতিষ্ট প্রাণীকূলেও। পুরো রাজশাহীর বরেন্দ্রঅঞ্চল জুড়ে অনাবৃষ্টিতে পুড়ছে ফসলের মাঠ। বিশেষ করে ধানের জমি গুলোতে পানি শুকিয়ে চৈচির হয়ে গেছে।

সুত্র অনুযায়ী গত প্রায় ২০দিন রাজশাহী অঞ্চলে টানা বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুর বা খালের পানি দিয়ে কোনরকম চাষাবাদ করছে কৃষকরা। আর যেসব কৃষক বিএমডিএর আওতাধীন গভীর নলকূপ থেকে পানি নিয়ে আবাদ করছেন। তাদের একদিন পরপরই জমিতে পানির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ফলে সময়মত পানি সব কৃষক পাচ্ছে না। সময়মতো বৃষ্টি না হলে পানি সংকটের কারণে আমন ক্ষেত হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ফলে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কৃষকরা জানান, বর্তমান সময়টা কৃষক আকাশের বৃষ্টির নির্ভর করে আবাদ করে থাকে কিন্তু আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেলেও বৃষ্টির কোন দেখা নাই। ফলে বৃষ্টির অভাবে পুরো আবাদ করতে পারিনি। ডিপ-টিউবওয়েলেও পানি সঠিক সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না ফলে আবাদ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে বলে এই কৃষক জানান। তারা বলেন, বর্তমান যে খড়া এমন অবস্থান ধানের জমিতে প্রচার পানির প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। শ্রীঘ্রই বৃষ্টির পানি না হলে ফসল বাঁচানো দুষ্কর হয়ে পড়বে বলে তিনি জানান।

চলতি মৌসুমে জমি বর্গা নিয়ে তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন, বাঘার কালীদাশখালী চরের আশরাফুল ইসলাম। অনাবৃষ্টি আর প্রচন্ড খরতাপে জমির বেশিরভাগ পাটগাছ পুড়ে মরে যাচ্ছে তার। প্রচন্ড খরতাপে জমির পাট মরে নষ্ট হলেও পানির অভাবে পাট কেটে জাগ দিতে পারছেন না। বৃষ্টি না হওয়ায় আশরাফুল ইসলামের পাট ক্ষেতের মতো খরতাপে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ক্ষেতের ভুট্টাও। ২০ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন কালীদাশখালী চরের কামরুল ইসলাম । তার আবাদ করা জমির অধিকাংশ ভুট্টা রোদে পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আবাদে এবার খরচ উঠবে না। খরায় সর্বনাশ হয়ে গেছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ড. তৌফিকুর রহমান জানান, এবার রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর। এখন পর্যন্ত জেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। গতবার আবাদ হয়েছিলো ৭৭ হাজার ৩২৫ হেক্টর ।

রাজশাহী অঞ্চলে টানা ২০ দিন বৃষ্টি নাই ফলে কৃষকরা সময়মত আবাদ শুরু করতে পারেনি। আমরা বিএমডিএর সাথে কথা বলেছি কৃষকদের ঠিক মত যাতে পানি সরবরাহ করে। অনাবৃষ্টির কারণে এখন পর্যন্ত ফসলের বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি । আগামী সপ্তাহে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আশাকরা যায় অতিদ্রুত পানির সমস্যা কেটে যাবে ।