সড়ক-মহাসড়ক যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কে নেমে জীবন নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছা যাবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন হয়ে পড়েছে। শনিবার (১৬ জুলাই) একদিনেই সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্ঘটনা কমাতে মনিটরিং জোরদার করার পাশাপাশি সড়ক ব্যবহারকারীদের আচরণগত পরিবর্তন জরুরি।
এবারের ঈদে ৫ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ১২ দিনে সড়কে প্রাণ গেছে ৩২০ জনের। শনিবার একদিনেই ১২ জেলায় মারা গেছেন ৩৬ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি ঈদযাত্রা তো বটেই সাম্প্রতিক সময়ে সড়কে এত প্রাণহানি আর দেখা যায়নি।
দেশে বেশ কয়েকটি সড়ক মহাসড়ক চার লেন ও ছয় লেনে উন্নীত হয়েছে। এতে সড়কে গতি যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি বেড়ে গেছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। এর দায় চালক, যাত্রী এবং পথচারী সব পক্ষেরই। যদিও তারা দুষছেন একে অপরকে।
এক পথচারী জানান, চালকের থেকে সবচেয়ে দায়ী পথচারীরা। কারণ তারা রাস্তার মাঝখান দিয়ে হঠাৎ করে দৌড় দেয়। ওই সময়ে গাড়ির গতি থাকে ৮০ থেকে ১০০ এতে দুর্ঘটনা ঘটে।
পথচারীদের অভিযোগ, রাস্তা পারাপারের সময় যেখানে আন্ডারপাস বা ফুটওভার ব্রিজ দরকার সেখানে তা নেই। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার করেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়কে যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং সলিউশন প্রয়োজন তেমনি ব্যবহারকারীদের আচরণগত পরিবর্তনও জরুরি। পাশাপাশি বাড়াতে হবে, কঠোর নজরদারি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাইফুন নেওয়াজ বলেন, রাস্তার তৈরির পর সে গতিটা মনিটরিং করার জন্য যে ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং সলিউশন দরকার সেটা দেওয়া হয় না।
‘নিরাপদ সড়ক চাই’র প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলন, ঈদের আগে সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে পরিমাণ তৎপর থাকে ঈদের পরে তেমনটি থাকে না। যে কারণে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পায় ঈদের পরে।
শনিবার দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেয়া যায়, প্রায় অর্ধেক দুর্ঘটনা ঘটে মুখোমুখি সংঘর্ষে।
রাজশাহীর সময়/এএইচ