২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০২:১৭:০২ পূর্বাহ্ন


ঋণের দায়ে দেউলিয়া হতে পারে বাংলাদেশ: জিএম কাদের
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৭-২০২২
ঋণের দায়ে দেউলিয়া হতে পারে বাংলাদেশ: জিএম কাদের ঋণের দায়ে দেউলিয়া হতে পারে বাংলাদেশ: জিএম কাদের


জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, ঋণের দায়ে বাংলাদেশ দেউলিয়া হতে পারে। তিনি বলেন, দেশের ঋণের পরিমাণ ১৬ লাখ কোটি টাকা। আগামীতে সুদসহ এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তখন দেশের অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে জুরাইন রেলগেটে শ্যামপুর-কদমতলী থানা জাতীয় পার্টি আয়োজিত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্মরণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে অনেক মিল। করোনাকালে পর্যটনখাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কার আবার দশ বছর গৃহযুদ্ধ করেও দেউলিয়া হয়নি শ্রীলঙ্কা। শুধু ঋণের বোঝা টানতে গিয়ে দেউলিয়া হয়েছে দেশটি। আবার শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের একই রাজনৈতিক বাস্তবতা। আর একারণেই বাংলাদেশে শ্রীলংকার মত ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। দুটি দেশেই কোথাও জবাবদিহিতা নেই। এমন দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। দেশের জন্য রাজা পেতে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদগণ জীবন দেননি। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে জনগণের প্রতিনিধি পেতে কিন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমরা প্রতিনিধি পাইনি পেয়েছি জনগণের রাজা।

জিএম কাদের বলেন, ঋণ নির্ভর বাজেট হয়েছে। বাজেটে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ও বেকারত্ব কমাতে কোনো বরাদ্দ নেই। গেল বছরও লক্ষ্য অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় হয়নি। এবার লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় না হলে ঋণ করে কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা দিতে হবে। ব্যাংকগুলোতে টাকা থাকবে না। ভয়াবহ অবস্থার দিকে যাচ্ছে দেশ।

মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আর কোনো মেগা প্রকল্প চাই না। আমরা চাই, মানুষ যেন খেয়ে-পড়ে বাঁচতে পারে। মানুষ যেন হাসপাতালে গিয়ে সহজে সুচিকিৎসা পায়।

এ সময় তিনি ভর্তুকি দিয়ে হলেও নিত্যপণের দাম সহনশীল মাত্রায় রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, পল্লীবন্ধুর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন দেশপ্রেমিক নেতা। তিনি গণমানুষের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করেছিলেন। যদিও পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের মত উপজেলা ব্যবস্থা নেই। জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা নেই উপজেলা ব্যবস্থায়।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, হারুন অর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, আমির উদ্দিন ডালু, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, সম্পাদক মন্ডলির সদস্য জহিরুল ইসলাম মিন্টু, গোলাম মোস্তফা, খোরশেদ আলম খুশু যুগ্ম সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সুজন দে, শরফুদ্দীন শিপু, অ্যাডভোকেট মো. আবু তৈয়ব, শেখ মাশুকুর রহমান, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, দ্বীন ইসলাম শেখ, কেন্দ্রীয় সদস্য মাহবুবুর রহমান খসরু, শাহীন আরা সুলতানা রিমা, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খান জুয়েল, সহ-সভাপতি শাহ ইমরান রিপন প্রমুখ।