২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন


কানওয়াড় যাত্রার রাস্তায় প্রকাশ্যে মাংস বিক্রি করা যাবে না, নির্দেশ যোগীর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৭-২০২২
কানওয়াড় যাত্রার রাস্তায় প্রকাশ্যে মাংস বিক্রি করা যাবে না, নির্দেশ যোগীর কানওয়াড় যাত্রার রাস্তায় প্রকাশ্যে মাংস বিক্রি করা যাবে না, নির্দেশ যোগীর


শ্রাবণ মাস মানেই কানওয়াড় যাত্রা। প্রতিবছর এই উৎসব পালন হয়। কানওয়াড় কথার অর্থ বাঁক। প্রতি বছর এই সময় প্রচুর মানুষ বাঁক কাঁধে হেঁটে যান হরিদ্বারের উদ্দেশ্যে। সেখানেই গঙ্গা জল নিয়ে শিবের মাথায় ঢালেন। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে যোগী সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এই রুটের মধ্যে প্রকাশ্যে মাংস বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল উত্তর প্রদেশ সরকার। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

আগামী ১৪ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কানওয়াড় যাত্রা। গত দুই বছর করোনার কারণে এই যাত্রা হয়নি। তবে এবছর ফের অনুষ্ঠিত হচ্ছে তা। কানওয়াড়ি গঙ্গা নদী থেকে জল নিয়ে শিবের মাথায় ঢেলে পুজো দেওয়ার রেওয়াজ বহুদিনের।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই যাত্রা নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেন। সেখানে আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা হয়। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়, কানওয়াড় যাত্রাপথে খোলা জায়গায় মাংসের দোকান বন্ধ রাখার বিষয়টি। পাশপাশি, এই যাত্রাপথে আলো, স্যানিটেশন এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন যোগী। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) অবনীশ অবস্থি বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে রাজ্য জুড়ে নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণ কানওয়াড় যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত চেষ্টা করা হচ্ছে।”

ইতিমধ্যেই এই খোলা মাংসের দোকান বন্ধ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। বেরেলির সিনিয়র পুলিশ সুপার সত্যার্থ অনিরুধ পঙ্কজ জানান, আমরা ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁদের এই বিষয়ে অবগত করেছি। তাঁরাও নিশ্চিত করেছেন যে খোলা জায়গায় মাংস বিক্রি হবে না এই সময়ে। বিজনোরের পুলিশ সুপার দীনেশ সিংও একই কথা জানান।

রাজ্য জুড়ে জেলা আধিকারিকরা কানওয়ার যাত্রার জন্য নির্ধারিত রাস্তাগুলি মেরামত শুরু করেছেন। এছাড়াও যেকোনও ধরণের অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে তাই নিরাপত্তাও আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের সরকারের তরফে অতিরিক্ত ১০ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 

ড্রোন ও সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চালানো হবে সর্বক্ষণ। মিরাট অঞ্চলের জেলা, ফৈজাবাদ, প্রয়াগরাজ, বারাণসী এবং তাদের প্রতিবেশী জেলাগুলিতেও কানওয়াড় যাত্রীদের আগমন দেখা যায়, প্রধানত পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং বিহার থেকে মানুষ আসেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই জেলাগুলিতেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরূপ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।