অবশেষে পদত্যাগ করলেন বরিস জনসন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের দায় স্বীকার করে নিয়ে অবশেষে সরে দাঁড়ালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
বরিসযুগের পতন হল। এর পর যাঁকেই বেছে নেওয়া হোক আগামী অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। বরিস সরে গেলে একজন বিকল্পকে দাঁড় করানো হবে। ইতিমধ্যে তাঁর রিপ্লেসমেন্ট খোঁজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বরিসের অনুপস্থিতিতে অনুমান, জাস্টিস সেক্রেটারি তথা ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ডমিনিক রাবই সাময়িক মসনদে বসতে পারেন। তিনিই 'ডিফল্ট চয়েস' বলে মনে করা হচ্ছে।
একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেই খবর। ভেঙে যেতে পারে মন্ত্রিসভা। পড়ে যেতে পারে সরকার। সব মিলিয়ে এখন চরম সংকট ব্রিটেনের রাজনীতিতে। বরিসের মন্ত্রিসভার ৪০ জন মন্ত্রীই পদত্যাগ করেছেন।
ক্যাবিনেট মিনিস্টার সাজিদ জাভিদের পদত্যাগ দিয়ে এই সংকটের শুরু। পদত্যাগ করেছেন ঋষি সুনক। একাংশের ধারণা, পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন এই ঋষি সুনকই।
ডেপুটি চিফ হুইপ পিনচারের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ সম্পর্কে জানার পরেও তাঁকে সরকারি ভূমিকায় নেওয়া ভুল ছিল বলে মেনে নেন জনসন। জনসন বলেন, 'না জেনে একটি ভুল কাজ করা হয়েছিল, যাঁরা এর খারাপ প্রভাবের সম্মুখীন তাঁদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি শুধু স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সরকারে এমন কারোর কোনও স্থান নেই যাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইরাকি বংশোদ্ভূত শিক্ষা সচিব নাদিম জাহাউইকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। ভারতীয় বংশদ্ভুত ঋষি সুনকের পদত্যাগের পরে এই নাম ঘোষণা করেছেন তিনি। ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছিল, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ জাহাউই-র নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছেন। জাহাউই তাঁর কুর্দি পরিবারের সঙ্গে শিশু বয়সে ব্রিটেনে আসেন। পরবর্তীকালে তিনি সাফল্যের সঙ্গে ব্রিটেনে ব্যবসা করেছেন। ৫৫ বছর বয়সী জাহাউই বিশিষ্ট পোলিং কোম্পানি-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ২০১০ সালে এমপি হওয়ার আগে লন্ডনে স্থানীয় কনজারভেটিভ রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। তিনি ব্রিটেনের মহামারী টিকাকরণের তদারকির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিলেন। অন্য দিকে, সুনকের মতেই, তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ২০১৩ সালে তাঁর আস্তাবল গরম করার খরচ সংসদের কাছে দাবি করেন তিনি। এর জেরে দেশের মানুষের মনে তাঁর আরও বেশি করে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে খবর।