২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৯:২৭:৫৪ অপরাহ্ন


পুলিশ জনগণের সেবার বাহিনী: আইজিপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৬-২০২২
পুলিশ জনগণের সেবার বাহিনী: আইজিপি পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন পুলিশ প্রধান।


পুলিশ জনগণের সেবার বাহিনী। আমরা খারাপ কোনো কাজ করে খবরের শিরোনাম হতে চাই না। আমাদের সাফল্য অর্জনের মধ্য দিয়ে খবরের শিরোনাম হতে চাই বললেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ১৬৪তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এর আগে পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন পুলিশ প্রধান। এ সময় প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মাঝে পদক বিতরণ করেন তিনি।

আইজিপি বলেন, পুলিশের চাকরি অন্য চাকরির মতো নয়। এই চাকরির মাধ্যমে আমরা ১৮ কোটি জনগণের নিরাপত্তা প্রদান করি। সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা নিশ্চিত করি। যাতে করে দেশে অর্থনৈতিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন সংগঠিত হয়। দেশের স্বার্থ রক্ষায় পুলিশ বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান আইজিপি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠানই নয়, বাংলাদেশ পুলিশ একটি গৌরবের নাম। দেশের সার্বিক কর্মকা-ে বাংলাদেশ পুলিশের আত্নত্যাগ অপরিসীম। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রধান কাজ দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গী দমন এবং স্বাধীনভাবে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। বাংলাদেশ পুলিশ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে ইতোমধ্যেই পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতা দেখিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে। জনগণের মাঝে সঠিক সেবা দিতে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পুলিশ প্রধান বলেন, সমাজ পরিবর্তনশীল। তাই অপরাধের ধরনও পরিবর্তন হচ্ছে। এ জন্য পুলিশ বাহিনীর মাঝে আধুনিকতা নিয়ে আসা হয়েছে। একইভাবে অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে-৯৯৯ চালু করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছে এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে পুলিশকে গড়ে তুলতে নিয়োগ পরীক্ষার আধুনিকায়ন করে কনস্টেবল নেওয়া হয়েছে। এখানে যোগ্যরা সুযোগ পেয়েছে। এখন যোগ্যতার ভিত্তিতেই পুলিশে পদোন্নতি ও জাতিসংঘে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

৬ মাস মেয়াদি এ মৌলিক প্রশিক্ষণে ৪৫৩ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেয়। প্রশিক্ষণরতদের মধ্যে আইন বিষয়ে শ্রেষ্ঠ টিআরসি নির্বাচিত হন বিশাল এবং মাঠ বিষয়ে শ্রেষ্ঠ হন সিয়াম সিদ্দিকী সাগর।

এর আগে প্রধান অতিথি পুলিশ একাডেমিতে এসে পৌঁছালে একাডেমির অধ্যক্ষ আবু হাসান মহাম্মদ তারিক ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে পুলিশ প্রধান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

রাজশাহীর সময়/এএইচ