১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন


সিংড়ায় বিদ্যুৎ-তেল ছাড়াই সেচপাম্প তৈরী করা দেখতে উৎসুক জনতার ভীড়
সৌরভ সোহরাব, সিংড়া(নাটোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৬-২০২২
সিংড়ায় বিদ্যুৎ-তেল ছাড়াই সেচপাম্প তৈরী করা দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় সিংড়ায় বিদ্যুৎ-তেল ছাড়াই সেচপাম্প তৈরী করা দেখতে উৎসুক জনতার ভীড়


বিদ্যুৎ-জালানি তেল ও গ্যাস ছাড়াই চুম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেচপাম্প তৈরী করছেন  মাসুদ রানা (৩৫) নামের এক যুবক। অভাবনীয় এই আবিস্কারের কথা শুনে কথিত ক্ষুদে বিজ্ঞানী মাসুদের ওই যন্ত্রটি তৈরী করা দেখতে ভীড় করছেন উৎসুক জনতা। কথিত ক্ষুদে বিজ্ঞানী ওই যুবক নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের পাছ তিরাইল গ্রামের মৃত ছালামত খানের ছেলে। 

কৃষিজীবি  যুবক মাসুদ রানার ২ বছর আগে থেকেই স্বপ্ন ছিল চুম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেচপাম্প তৈরী করবেন। যাতে বিদ্যুৎ ও তেল খরচ না লাগে। স্বল্প খরচে কৃষকরা তাদের জমিতে পানি সেচ দিতে পারবেন। একসময় তার উদ্ভাবিত এই যন্ত্রটি ছড়িয়ে যাবে সারা দেশে। তার এই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে শুরু করেন কাজ।  লোহার অ্যাঙ্গেল, প্লেনশিট, প্লাষ্টিকের পাইপ দিয়ে প্রায় দেড় মাস ধরে তৈরী করছেন এই বিদ্যুৎ ও তেলবিহীন সেচপাম্প।  সেচপাম্পটি ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে তাই উৎসুক জনতা প্রতিদিনই দেখতে আসছেন তার এই যন্ত্রটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আগতিরাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দন্ডায়মান ১০ ফুট উচ্চের ৬ পাখা বিশিষ্ট সেচপাম্প যন্ত্র। পাখার মাঝ খানে বড় আকৃতির চাকা। সেই চাকায় লাগানো হয়েছে ফিতা। প্রতিটি পাখার মাঝে বসানো হবে শক্তিশালী চুম্বুক। চুম্বুকের শক্তিতে ঘুরবে পাখা সেই সাথে ঘুরবে ফিতা লাগানো চাকা আর চাকার সাথে লাগানো ফিতা ঘুরাবে সেচপাম্পকে। এভাবেই বিদ্যুৎ তেল ছাড়াই সেচপাম্প থেকে উঠবে পানি। এমনটাই জানাচ্ছিলেন যন্ত্রটির উদ্বাবক ওই যুবক মাসুদ।

মাসুদ আরও জানায়, এপর্যন্ত  তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। তবে চুম্বক সহ বাকি আরও যন্ত্রাংশ  কিনে পুনার্ঙ্গ যন্ত্রটি বাস্তবায়ন করতে তার আরও ১ লাখ টাকার বেশি খরচ হবে। 

চুম্বুক শক্তির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চাইলে মাসুদ বলেন, আমি ব্যাখ্যা দিতে পারবো না তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমি এটাকে বাস্তবে রুপ দেবো। মাসুদ জানায়, আগামী  ৩ মাসের মধ্যে যন্ত্রটির বাকি কাজ শেষ করে পরিপূর্ণ  করবো ইনশা আল্লাহ। তবে সরকারের কাছে আমার অনুরোধ আমার পরিকল্পনায়  প্রয়োজনে যদি কারিগরি সহযোগিতা লাগে তাহলে আমি যেন সেই সহযোগিতা পাই।

আগতিরাইল ও পাছ তিরাইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই ও আনছার আলী জানান, মাসুদ রানার এই যন্ত্র তৈরীর কথা শুনে প্রায় প্রতিদিনই এখানে লোকজন আসছে। আমরা অপেক্ষায় আছি আর কত দিন পর এর কার্যকরিতা  দেখতে পারবো।

আগতিরাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাদিক হোসেন বলেন, কৃষক মাসুদ অনেক দিন ধরেই তেল ছাড়া সেচপাম্প যন্ত্রটি উদ্ভাবন করার চেষ্টা করছেন। আমি আশা করি তিনি যেন তার কাজে সফল হন।

রাজশাহীর সময়/এএইচ