২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৩:৫৫:২৭ অপরাহ্ন


ফল পাল্টাতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের মৃত্যুর হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্পের সমর্থকরা
নোমান ইবনে সাবিত/ বিপি, নিউ ইয়র্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৬-২০২২
ফল পাল্টাতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের মৃত্যুর হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্পের সমর্থকরা ফল পাল্টাতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের মৃত্যুর হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্পের সমর্থকরা


যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের শুনানিতে বলা হয়েছে যে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল বাতিল করে দিতে রাজি হননি বলে নির্বাচন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা। অ্যারিজোনা স্টেট হাউজের স্পিকার রুস্টি বাওয়ার শুনানিতে অংশ নিয়ে বলেছেন তাদের হয়রানি করা এখনো অব্যাহত আছে।

জর্জিয়ার একজন ভোট গণনাকারী বলেছেন, তিনি ঘর থেকে বের হতেই ভয় পেতেন কারণ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে টার্গেট করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সিলেক্ট কমিটি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার ঘটনা নিয়ে এখন শুনানি করছে। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসে যখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়ের অনুমোদন প্রক্রিয়া চলছিল, তখন কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা কংগ্রেস ভবনে ঢুকে আগ্রাসন চালিয়েছিল প্রায় এক বছর ধরেই তার তদন্ত করছে ওই কমিটি।

মঙ্গলবার ছিল শুনানির চতুর্থ পর্ব। এই দিনে অ্যারিজোনা ও জর্জিয়ার নির্বাচন কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনা হয়। উভয় রাজ্য আগে রিপাবলিকান প্রার্থীকে ভোট দিলেও এই নির্বাচনে ট্রাম্প উভয় রাজ্যে হেরে গিয়েছিলেন।

আমরা অতিরিক্ত প্রায় বিশ হাজার ই-মেইল পেয়েছিলাম। আর লাখ লাখ ভয়েস মেইল ও টেক্সট। আমরা কাজ করতে পারছিলাম না, বাওয়ার বলেছেন কমিটিকে।

২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করা বাওয়ার বলছিলেন যে হুমকি আর উপহাসের শিকার হয়েছেন তারা নিয়মিত। এমনকি তার বাড়ির সামনে গিয়ে তাকে যৌন নিপীড়নকারী হিসেবে প্রচার করা হয়েছে।

তিনি স্মরণ করেন যে ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি গিলিয়ানি একপর্যায়ে তাকে বলেছিলেন যে তারা অনেক তত্ত্ব পেয়েছেন, কিন্তু প্রমাণ পাননি।

এবারের শুনানিতে জর্জিয়ার নির্বাচন কর্মকর্তা শায়ে মোসে ও তার মা রুবি ফ্রিম্যান সাক্ষ্য দিয়েছেন। জর্জিয়ায় জো বাইডেন প্রায় বার হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। তবে ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন।

রেকর্ড করা এক বার্তায় শোনা যায় যে ট্রাম্প মোসেকে 'পেশাদার ভোট প্রতারক' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আমি আমার নাম হারালাম। সম্মান হারালাম। এমনকি নিরাপত্তা বোধটুকুও হারিয়েছি, রুবি ফ্রিম্যান বলছিলেন।

তিনি প্রশ্ন করেন, আপনি কি জানেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আপনাকে টার্গেট করলে আপনার কেমন বোধ হবে? এরপর আমি কাউকে আমার বিজনেস কার্ড দেই না। আমি চাই না কেউ আমার নাম জানুক। তিনি কমিটিতে বলেন যে ট্রাম্প সমর্থকরা তাকে খুঁজতে তার দাদির বাড়িতেও গিয়েছিল। রিপাবলিকান দলীয় একজন ভোট সংগঠকের বক্তব্যও শুনেছে সিলেক্ট কমিটি।

এই শুনানিতে অংশ নিয়ে জর্জিয়ার প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যে অভিযোগ করেছিল তার সত্যতা পাওয়া ছিল সাগর থেকে বেলচা দিয়ে পানি সরানোর মতো কঠিন।

জর্জিয়ার স্টেট সেক্রেটারি ব্রাড র‍্যাফেন্সপার্জার বলেছেন তারা যত অভিযোগ পেয়েছিলেন তার প্রতিটিই তারা তদন্ত করে দেখেছিলেন।